বাংলা হান্ট ডেস্ক: খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এক শীর্ষ ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডা। কানাডার (Canada) সরকারের অভিযোগ, ওই খলিস্তানি নেতাকে খুনের পিছনে ভারতীয় কূটনীতিক জড়িত রয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় ভারত এবং কানাডার মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে। পাল্টা ভারতও (India) কানাডার কূটনীতিককে (Diplomat) বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু কে এই হরদীপ সিং নিজ্জার (Hardeep Singh Nijjar)? হরদীপ জলন্ধরের ভরসিংপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিল। ১৯৯৬ সালে কানাডায় চলে যায় সে। গত কয়েক বছর ধরে খলিস্তানপন্থী কার্যকলাপে জড়িত ছিল নিজ্জার।
ধীরে ধীরে সে কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের (Sikh) নেতা হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে। এরপর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারে শহরের গুরুদ্বারের প্রধান হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এরপর কানাডায় একজন বড় শিখ নেতা হিসেবে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। পাকিস্তানি (Pakistan) গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) নির্দেশে সে কানাডায় ভারত বিরোধী তৎপরতা চালাতে থাকে। বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলার পরিকল্পনাও করেছিল নিজ্জার।
জগতার সিং তারার নেতৃত্বাধীন বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল সদস্যপদ নিয়ে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয় নিজ্জার। পরবর্তীকালে নিজ্জার নিজস্ব খলিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF) প্রতিষ্ঠা করে।
ভারতে খলিস্তানপন্থী সংগঠনের বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছে এই হরদীপ। এই সমস্ত কারণে ১০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৩-১৪ সালে হরদীপ সিং নিজ্জার পাকিস্তান সফরে করেছিল। আর এই সফরের পুরো খরচ করেছে নাকি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ২০১৪ সালে নিজের আধ্যাত্মিক নেতা বাবা ভানিয়ারাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল নিজ্জার। ২০১৫ সালে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মিসিজন হিলসে খলিস্তানি জঙ্গিদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ স্থাপন করে। ২০২০ সালের নভেম্বরে সহকর্মী গ্যাংস্টার আরশ ডাল্লার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে নিজ্জার। এই দু’জনেই মনোহার লালকে খুন করে।