বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দল কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি এবং সিরিজ জিতে নিয়েছে। বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে একাধিকবার ম্যাচে বিঘ্ন ঘটে। কখনো আলোর সমস্যার কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ রাখতে হয়, আবার কখনো মাঠে সাপ দেখা যাওয়ায় ক্রিকেটারদের ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে টসে হেরেও রোহিত শর্মার ভারত যেভাবে জয় পেয়েছে তাতে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ভারতীয় সর্মথকরা।
কালকের ম্যাচে জয়ের নায়ক হিসেবে অনেকেই দুজনের নাম করছেন। কেউ কেউ বলছেন সূর্যকুমার যাদবই হলেন কালকের ম্যাচের হিরো। আবার কেউ কেউ বলছেন যে লোকেশ রাহুল অত ভালো স্টার্ট ভারতকে দিতে না পারলে ভারতীয় দল এত বড় স্কোর তুলতে পারতো না। তবে এসবের মাঝখানে একজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান অন্তরালে থেকে যাচ্ছে যা কেউ ভেবে দেখছেন না।
কালকের ম্যাচে বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন বিরাট কোহলিও। শেষপর্যন্ত তিনি মাত্র এক রানের জন্য অর্ধশতরান পাননি এবং ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় ইনিংসের শেষের দিকে এক সময় বিরাট কোহলি এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভক্তদের মন ছুঁয়ে গেছে এবং দেখা গেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিরাটের ওই একটা সিদ্ধান্ত ভারতের জয়ের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে।
কাল ম্যাচের শেষ দিকে সূর্যকুমার যাদব আউট হওয়ার পর দীনেশ কার্তিক ফিনিশারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং সাধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ইনিংসে একদম শেষ প্রান্তে কোহলি ৪৯ রানে অপরাজিত অবস্থায় নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ছিলেন। শেষ ওভারে তিনি একটি বলও খেলতে পারেননি এবং দীনেশ কার্তিক সবকটি বল খেলে ভারতকে ১৮ রান এনে দেন। ওই ওভার চলাকালীন কার্তিক এসে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে তিনি এক রান দিয়ে কোহলিকে স্ট্রাইক দিতে চান যাতে করলে নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করতে পারেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ মাথা নেড়ে সেই প্রস্তাবে অসম্মতি জানান বিরাট এবং কার্তিককে নিজের তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যেতে বলেন। কার্তিক শেষ ওভারে ১৮ রান করেন। শেষপর্যন্ত দেখা যায় ভারত ১৬ রানের ব্যবধানে জেতে।
কালকের ম্যাচে ডেভিড মিলার অসাধারণ শতরান করেছেন যা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে জেতার আশাও দেখাচ্ছিল একসময়। যেভাবে শেষের দিকের ওভারগুলিতে তিনি রান তুলেছেন, তাতে ভারতের ডেথ বোলিং নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।