বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে বাসের মালিকপক্ষ, অন্যদিকে চালকপক্ষ। আর এই দুই পক্ষের বিবাদের মাঝখানে পড়ে নিত্যদিন চরম ভোগান্তির মুখে কলকাতার হাজার হাজার যাত্রী। শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ২৪০ নম্বর বাস রুট গত পাঁচদিন ধরে কার্যত বন্ধ। ফলে বাগবাজার থেকে শিয়ালদহ, যাদবপুর হয়ে গল্ফগ্রিন পর্যন্ত যাতায়াত করা যাত্রীদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে (Kolkata Bus Service)।
প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার হিসেবে গরমিল (Kolkata Bus Service)
প্রতিদিন বাগবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে নির্দিষ্ট সময়েই রওনা দেয় ২৪০ নম্বর বাস (Kolkata Bus Service)। শিয়ালদহ পেরিয়ে যাদবপুর হয়ে এই বাস পৌঁছয় গল্ফগ্রিনে। শহরের ব্যস্ততম রুটগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হিসাব ঘিরেই এই অচলাবস্থা।চালকপক্ষের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ২৪০ নম্বর রুটের বাস ইউনিয়নের কর্তা বাপি ঘোষ ওই টাকার হিসাব দিতে পারছেন না। যদিও এই টাকা ঠিক কীসের, তা নিয়েই মূলত শুরু হয়েছে বিবাদ।
চালকদের দাবি, বাস চলাচলের নিয়ম অনুযায়ী বাগবাজার স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার পর বিডন স্ট্রিটের গুমটিতে ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছনো বাধ্যতামূলক। কিন্তু কলকাতার যানজট, সিগন্যাল এবং পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে সময় মেনে ঢোকা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এরপর বাস ডিপোতে যেতে গিয়ে আরও দেরি হয়। তার ফলেই প্রায় প্রতিদিনই গুনতে হয় লেট ফাইন (Kolkata Bus Service)।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বাস দেরি করলে প্রতি মিনিটে ১০ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। পাশাপাশি যে বাসটি দেরি করে, তার পিছনের দুই এবং তিন নম্বর বাসকে ওই লেট ফাইনের কমিশন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই কমিশন নিয়েই মূলত বিরোধ (Kolkata Bus Service)।
চালকপক্ষের অভিযোগ, গত ২ বছর ১ মাস ধরে এই কমিশন তারা পাচ্ছেন না। অথচ মালিকপক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেট ফাইন বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। তাই চালকদের বক্তব্য, কমিশন না পেলে আর লেট ফাইন দেওয়া সম্ভব নয় (Kolkata Bus Service)। এক চালক বলেন, “লেট ফাইন নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছি। কাউন্সিলর বাপি ঘোষের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছিল। কিছুদিন জরিমানা বন্ধ ছিল, কিন্তু পরে আবার চালু হয়ে যায়।”

আরও পড়ুনঃ মমতা থেকে শুভেন্দু, কার কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটার নাম কাটার সম্ভাবনা? একনজরে দেখুন তালিকা
চালকদের আরও দাবি, পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রথমে তাঁদেরই ছিল। মঙ্গলবার, অর্থাৎ বিক্ষোভের প্রথম দিন বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন চালকেরা (Kolkata Bus Service)। তবে সেই দিন সন্ধ্যাতেই তাঁরা ঠিক করেন, বুধবার থেকে আবার পরিষেবা চালু করবেন। কিন্তু তখন মালিকপক্ষ রাজি হয়নি বলেই অভিযোগ। চালকদের কথায়, “ওরাই জানিয়ে দেয়, বাস চালাতে হবে না।” ফলে মালিক ও চালকপক্ষের এই টানাপোড়েনে পাঁচদিন ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে ২৪০ নম্বর বাস। আর তারই খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিদিন এই রুটে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষকে।












