বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেসরকারিকরণ (Privatization) হতে চলেছে কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Netaji Subhas Chandra Bose International Airport)। সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে ২৫টি বিমানবন্দর চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Union Civil Aviation Ministry)। শীঘ্রই এই মর্মে নিলামের শর্তাবলী চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের এটি দ্বিতীয় পর্যায়। এর মধ্যে একাধিক বড় ও প্রধান বিমানবন্দর রয়েছে। যেমন চেন্নাই (Chennai) ও বারাণসী (Varanasi) বিমানবন্দরেরও বেসরকারিকরণ হবে। এছাড়াও ছোট বিমানবন্দর যেমন ইন্দোর, জব্বলপুর, কুশীনগরেরও নাম রয়েছে এই তালিকায়।
এই প্রক্রিয়ায় অগ্রিম ১০ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। উল্লেখ্য, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পূর্ব ভারতের বৃহত্তম বিমান ভ্রমণ কেন্দ্র। এটি ১৬৪১ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের দু’টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে একটি হল কলকাতা বিমানবন্দর।
একইসঙ্গে যাত্রী সংখ্যার নিরিখে এটি ভারতের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে একটি নতুন ফর্মুলা আনতে চাইছে কেন্দ্র। বেসরকারিকরণের দ্বিতীয় পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি মডেল আনতে চাইছে কেন্দ্র। এই পরিকল্পনার অধীনে একটি বড় বিমানবন্দরের সঙ্গে একটি ছোট বিমানবন্দরের নিলাম করা হবে। দু’টি বিমানবন্দর একসঙ্গে করে একটি বড় ইউনিট হিসেবে নিলাম হবে।
বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত ডিসেম্বরে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) বলেছিলেন, “একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিমানবন্দরগুলি লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।” মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এটি করে অর্থ রোজগার করতে চায় সরকার।
তারপর সেই অর্থ পুনরায় বিনিয়োগ করে টায়ার ২ ও টায়ার ৩ শহরে আরও বিমানবন্দর নির্মাণে কাজে লাগানো হবে। মনে করা হচ্ছে, ক্যাবিনেট নোট এবং গোটা প্রকল্পটি ২ মাসে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। তারপর এটি ক্যাবিনেটের সম্মতির প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে।
২০১৯ সালে দেশের ৬টি বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ করেছিল কেন্দ্র। এর মধ্যে ছিল লখনউ, ম্যাঙ্গালুরু, জয়পুর, গুয়াহাটি এবং তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর। নিলামে এই বিমানবন্দরগুলি পেয়েছিল শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) আদানি গ্রুপ (Adani Group)। পরে মুম্বই বিমানবন্দরও অধিগ্রহণ করে নেয় আদানি গ্রুপ।