বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে এমারজেন্সি ডিউটি ছিল। সেখানে পুরসভার মেডিক্যাল টিমের হয়ে হাজির ছিলেন তপোব্রত রায় নামের একজন ডাক্তার। তবে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে ব্যাজ পরার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এবার তিনিই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ পুরসভার চিকিৎসক!
দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন তপোব্রতকে গ্রেফতার করেছিল ময়দান থানার পুলিশ। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসকের সহকর্মীরা। একইসঙ্গে পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ডাক্তারদের একাংশ পুলিশের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরবও হয়েছিলেন।
এদিকে জানা যাচ্ছে, তপোব্রতকে আটকের কোনও নিন্দা করেনি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রম করে গেলেও কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি বলে খবর। সেই কারণে কেএমসির (KMC) চিকিৎসকরা প্রতীকী অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
আরও পড়ুনঃ অর্জুন-দিলীপ বাদ? ৬ বিধানসভায় উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা BJP-র! দেখুন তালিকা
একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফ থেকে দুঃখপ্রকাশের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই কারণে ডাক্তাররা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এবার এই ঘটনাতেই কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোজা হাইকোর্টে ছুটলেন তপোব্রত। জানা যাচ্ছে, আগামী মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি সামনে রেখে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যারা অনশন করছেন তাঁদের বুকে ‘অনশনকারী’ ব্যাজ রয়েছে। যারা জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন করছেন তাঁদের অনেকের বুকেও ওই একই ধরণের ব্যাজ আছে। সেই রকম ব্যাজ পরাতেই ময়দান থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তপোব্রত। পরবর্তীতে আন্দোলনের চাপে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে খবর। এবার এই ঘটনাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন ওই চিকিৎসক।