কলকাতা পুরসভায় চেয়ারে বসা নিয়ে তুমুল ঝামেলা তৃণমূল-বিজেপির! অধিবেশনে তুলকালাম

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে শাসক বনাম বিরোধীদের তরজা সর্বদাই চরমে। আর এবার কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) অধিবেশন কক্ষেই বাম ও বিজেপির (TMC-BJP) সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল। তাও আবার চেয়ারে বসা নিয়ে। সত্যিই নজিরবিহীন।

পুরসভা সূত্রে খবর, শনিবার অধিবেশন কক্ষে খানিক দেরি করে প্রবেশ করেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর শামসুজ্জামান আনজারি। এর পর তিনি বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ থাকা জায়গায় বসতে যান। প্রাক্তন মেয়র পারিষদদের জন্য আলাদা আসন বরাদ্দ রয়েছে থাকা সত্ত্বেও তিনি বিরোধীদের জায়গায় বসতে চান। বসতে যান বিজেপি-র পরিষদীয় দলনেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতের জন্য বরাদ্দ জায়গায়।

   

এরপরই বিরোধীদলের কাউন্সিলররা তাকে বলেন, ওটা মীনাদেবীর জন্য বরাদ্দ জায়গা। তবে কথা কানে তোলেন নি শামসুজ্জামান আনজারি। অভিযোগ, এর পরই বিজেপির মীনাদেবীর ডেস্কের উপরে রাখা যাবতীয় কাগজপত্র এবং বই, পাশের আসনে ছুড়ে ফেলে দেন শামসুজ্জামান। জোর কড়ে ওই জায়গায় বসতে গেলে সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা, মধুচ্ছন্দা দেবরা তাকে বাধা দেন।

আরও পড়ুন: বছর শুরুতেই পরপর তিন দিন বন্ধ থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-কাছারি! কী কারণে ফের ছুটি?

এরপর বামেরাও ঘটনার বিরোধীতা শুরু করে। অধিবেশন কক্ষে তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি চলতে থাকে। ওদিকে পাল্টা তৃণমূলের হয়ে আসরে নামেন তপন দাশগুপ্ত, অসীম বসুরা। ক্রমশ্য উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। বাধ্য হয়ে কিছু ক্ষণের জন্য অধিবেশনের কাজ বন্ধ রাখেন চেয়ারপার্সন। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

kmc banner

অন্যদিকে নিজের ওপর ওঠা অভিযোগ নিয়ে শামসুজ্জামান আনজারি বলেন, “ওই চেয়ার বিজেপি-র জন্য বরাদ্দ বলে লেখা ছিল না। আগে ওখানেই বসতাম। এবার ওরা হঠাৎ চিৎকার শুরু করে দিল। তবে চেয়ারপার্সন বলার পর আমি সরে যাই। আমি। ” তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ার নিয়ে ঝগড়াও করি নি। কোনও কাগজপত্র ফেলে দেই নি। ‘

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর