বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মার্চ মাসে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ একটি বহুতলের একাংশ। যার জেরে প্রাণ হারান ১৩ জন। অভিযোগ ওঠে, জলাজমি ভরাট করে এই অবৈধ নির্মাণ বানানো হচ্ছিল। গোটা ঘটনায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কলকাতা পুরসভা। (Kolkata Municipal Corporation) এরপর ৪ মাসের মাথায় বিরাট পদক্ষেপ নিল কেএমসি।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর নয়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)!
মার্চ মাসে গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার পর থেকে ‘অ্যাকশনে’ দেখা গিয়েছে কেএমসি-কে (KMC)। অবৈধ নির্মাণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথাও সামনে এসেছে। এবার জানা গেল, কলকাতা পুরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে বিল্ডিং প্ল্যান জমা করার সঙ্গে সার্ভে রিপোর্টও জমা করতে হবে। জানা যাচ্ছে, কোনও জমির চরিত্র সহ নানান তথ্য থাকে এই রিপোর্টে।
কোনটা বাস্তু জমি আর কোনটা জলা জমি সেই বিষয়ে সার্ভে রিপোর্টে (Survey Report) উল্লেখ করা থাকে। এতদিন অবধি কলকাতা পুরসভার ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে বিল্ডিং প্ল্যানের সঙ্গে সার্ভে রিপোর্ট জমা করতে হতো। অ্যাডেড এরিয়ার ক্ষেত্রে তা করতে হতো না। তবে এবার থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেই তা বাধ্যতামূলক করে দিল কেএমসি।
আরও পড়ুনঃ ১১০০ টাকা বাড়ল ভাতা, এই সরকারি কর্মচারীদের বিরাট সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
এই প্রসঙ্গে লাইসেন্সড বিল্ডিং সার্ভেয়ার তথা এলবিএস-রা বলছেন, কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কাছে অ্যাডেড এরিয়ার ডিজিটাল সার্ভে রিপোর্ট নেই। অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আস্তে আস্তে পুরোটাই ডিজিটাল করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে মেয়র বলেন, পুকুর বোঝাই অত্যন্ত অন্যায় একটি কাজ। এটা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। সেই সঙ্গেই মাটির গুণমানটাও আমাদের কাছে অত্যন্ত মাথাব্যথার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণে সার্ভে রিপোর্ট দিয়ে আগে বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট ল্যান্ড হিস্ট্রি দেখে নেবে, এরপর তা অনুমোদন পাবে।