বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহরের রাস্তায় সারাদিন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। সেই গাড়ির নীচে জমে নোংরা-আবর্জনা। ফলে পুরসভার সাফাইকর্মীরা ঠিকমতো রাস্তা পরিষ্কার করতে পারেন না। এই সমস্যাই বারবার জানাচ্ছেন শহরবাসী। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নড়াচড়া বসল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। খবর, রাস্তায় পার্কিংয়ের নিয়ম বদলানোর কথা ভাবছে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
কী অভিযোগ?
কলকাতার বহু রাস্তায় দিনভর দাঁড়িয়ে থাকে ব্যক্তিগত বা দাবিদারহীন গাড়ি। তার নীচে জমতে থাকে ধুলো-বালি, নোংরা, আবর্জনা। ফলে সাফাই কর্মীরা সঠিকভাবে রাস্তা পরিষ্কার করতে পারেন না। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এক বাসিন্দার অভিযোগের পরেই সমস্যাটিকে নতুন করে গুরুত্ব দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কী বলেছে পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)?
মেয়র জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাস্তার ওপর কোনও কার পার্কিং না রাখার নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে। এই দুই ঘণ্টায় হবে রাস্তা সাফাই। তবে এই নিয়ম চালু করার আগে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) আইনি দিক খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
অনেক এলাকায় বাড়িতে বা ফ্ল্যাট কমপ্লেক্সে পার্কিং না থাকায় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখেন। তাহলে ওই দুই ঘণ্টায় গাড়ি রাখা যাবে কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) পার্কিং লট আছে অনেক জায়গায়। দক্ষিণ কলকাতায় আলিপুরের মাল্টি-কার পার্কিং লট ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া আশপাশের কোনও গ্যারাজেও গাড়ি রাখা যেতে পারে।
শহরের আরেক সমস্যার দিকেও আঙুল তুলেছেন মেয়র। বিভিন্ন থানার সামনে, রাস্তাঘাটে পড়ে থাকে স্ক্র্যাপ গাড়ি, বাজেয়াপ্ত গাড়ি বা দাবিদারহীন পুরোনো গাড়ি। আগেও এই গাড়িগুলি সরাতে লালবাজারকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে পুলিশ অভিযান চালালেও আবার গাড়িগুলি জমে যায় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ নবম-দশমের ফল ঘোষণায় সব জল্পনার শেষ, সম্ভাব্য দিন জানাল SSC
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, “দিল্লির মতো কোথাও একটা বিস্ফোরণ হলে তখন টনক নড়বে পুলিশের!” তাঁর দাবি, এই সমস্ত গাড়ি রাস্তায় পড়ে থাকলে এলাকায় নোংরা বাড়ে, ডেঙ্গুর সম্ভাবনাও বাড়ে। সাফাইকর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার করতেও অসুবিধায় পড়েন। তাই আবারও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এই সব দাবিদারহীন গাড়ি দ্রুত স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়ার কথাও পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) জানিয়েছে।












