বেআইনি নির্মাণ রেগুলারাইজেশনে আয় সাড়ে ৩৪ কোটি, রেকর্ড আয় পুরসভার

Published on:

Published on:

Kolkata Municipal Corporation revenue from construction fines rises
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ বছর বেআইনি নির্মাণ থেকে জরিমানা তুলে রেকর্ড অঙ্কের আয় করছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ছোটখাটো ভুল নির্মাণ থেকে শুরু করে বড় ডেভিয়েশন, জরিমানা দিলেই বৈধতার সুযোগ থাকায় বাড়ছে আবেদন, আর সেই সঙ্গে পুরসভার কোষাগারও দ্রুত ভরছে। চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি টাকা উঠে গেছে, যা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে শহরজুড়ে।

বেআইনি নির্মাণ জরিমানা নিয়ে বৈধ করেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)

১ এপ্রিল থেকে ১৪ নভেম্বর ২০২৫, এই কয়েক মাসে মোট ২৮৩টি বেআইনি নির্মাণ জরিমানা নিয়ে বৈধ করেছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। এই রেগুলারাইজেশন থেকেই এসেছে ৩৪ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। সিঁড়ির নীচে ঠাকুরঘর, ছাদে ছোট ঘর, অতিরিক্ত ব্যালকনি, এমন অনেক ছোট ছোট ভুলের ক্ষেত্রে আগে ছাড় দেওয়া হত। কিন্তু নিয়ম শিথিল হওয়ার পর বড় ভুল নির্মাণেও ছাড় মিলছে অনেক ক্ষেত্রে। ফলে বহু বাড়ি এখন জরিমানা দিয়েই বৈধ হয়ে যাচ্ছে। এক পুরকর্তা এই প্রসঙ্গে জানান, “ক্ষুদ্র ভুল তো আছেই, অনেক সময় এলাকায় মানুষের অসুবিধা না হলে বড় ভুল নির্মাণও বৈধতা পাচ্ছে। তাই আয়ও বাড়ছে পুরসভার।”

গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। আর পুরো বছরে রেগুলারাইজেশন থেকে এসেছিল ৫২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু এ বছর নভেম্বরেই ৩৪ কোটির বেশি টাকা উঠে যাওয়ায় পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) আশা এবার রেকর্ড আয় হবে।

১০ শতাংশের বেশি বাড়তি নির্মাণে ছাড় নয়

মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে রেগুলারাইজেশনের নিয়ম ফের বদলানো হচ্ছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, বাড়ির মোট আয়তনের ১০% এর বেশি ডেভিয়েশন থাকলে আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। ওই অংশকে বেআইনি মেনে ভেঙে ফেলতেই হবে।

Kolkata Municipal Corporation revenue from construction fines rises

আরও পড়ুনঃ কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে ২৪ জায়গায় তল্লাশি ED-র, ঝাড়খণ্ডেও অভিযান, কেন?

শুধু রেগুলারাইজেশন নয়, নতুন নির্মাণের অনুমতিতেও ভাল আয় করেছে পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১,৯৬২টি নতুন বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করে পাওয়া গেছে ১৫০ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। পুরকর্তাদের দাবি, বেআইনি নির্মাণে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি নিয়ম মেনে নতুন নির্মাণ হলে পুরসভার আয়ও বাড়বে।