আর কলকাতার পথ-ঘাটে জমে থাকবে না জল! কতক্ষণে পরিস্কার হবে রাস্তা? জানাল পুরসভা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন কয়েক আগেও সাংঘাতিক গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিল সকলেই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবারেই বৃষ্টির দেখা মিলল। আর, সোমবারের বৃষ্টিতেই রীতিমতো জল থইথই অবস্থা শহর কলকাতার (Kolkata)।

বলা বাহুল্য, একনাগাড়ে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ সর্বত্রই জলমগ্ন হয়ে যায় কলকাতায়। কোথাও হাঁটু জল, আবার কোথাও কোমর অবধি জল জমে। ফলে, বাড়তে থাকে বিভিন্ন রাস্তায় যানজট। সব মিলিয়ে বলা যায়, নাজেহাল অবস্থা হয় তিলোত্তমাবাসীর। তবে, এবার অবশ্য আমজনতার উদ্দেশ্য খুশির খবর দিল পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)।

আরোও পড়ুন : মাধ্যমিকে ২০, উচ্চমাধ্যমিকে ২! রেজাল্ট শুনেই চোখে জল সৌম্যদীপের বাবা-মার

পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার ১০০ মিলিমিটার অবধি বৃষ্টি হলেও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে। পুরসভার আধিকারিকরা জানান, এক সময় কলকাতার নিকাশি পথে প্রতি ঘণ্টায় বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল ৬.১০ মিলি মিটার। এখন, নিয়ম করে ম্যানহোল থেকে পলি পরিষ্কারের কারণে জল নিষ্কাশনের ক্ষমতা অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরোও পড়ুন : মাত্র ৭ দিনেই মিলবে HS’র স্ক্রুটিনি-রিভিউয়ের রেজাল্ট! দিতে হবে শুধু ৪ গুণ টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন?

বর্তমানে সেই ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ মিলিমিটার পর্যন্ত। এ বিষয়ে নিকাশী বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং জানান, জল নামতে কতটা সময় লাগবে তা অবশ্যই বৃষ্টির পরিমাণের উপর নির্ভর করছে। যদি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে জল নামতে সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। আর যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে বেশি সময় লাগবে।

1606309512 5fbe56889bec7 water logging

তবে, শহর কলকাতায় জল নিষ্কাশনের প্রসঙ্গে অবশ্য আরেকটি তত্ত্বও উঠে এসেছে। শহরে বৃষ্টির জল জমা এবং নেমে যাওয়ার সঙ্গে হুগলি নদীর জোয়ার ভাটার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। কলকাতা শহরের সমস্ত জল হুগলি নদীতে গিয়ে পড়ে বলেই জোয়ারের সময় লকগেট বন্ধ আর ভাটার সময় আবার গেট খুলে দেওয়া হয়। ফলে ভাটা থাকলে দ্রুত জল নেমে যাবে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর