বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতেগোনা আর কদিন, তারপরেই দীপাবলি (Diwali 2025)। দীপাবলীর আগেই কলকাতা শহরে শুরু হয়েছে বাজি বাজারের প্রস্তুতি। প্রতি বছরের মতো এবারও শহরের চার প্রান্তে চারটি সরকারি বাজি বাজার বসবে। বুধবার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ব্যবসায়ীদের জানানো হয় কীভাবে নিরাপদে এবং নিয়ম মেনে বাজি বিক্রি করতে হবে।
তবে প্রশ্ন উঠছে পাড়ায় পাড়ায় যে বেআইনি বাজি বিক্রি হয়, তা রোখার দায়িত্ব নেবে কে? পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, “শুধু সরকারি বাজারে নিয়ম মানলে হবে না, পাড়ার বেআইনি বাজির দোকানগুলোকেও বন্ধ করতে হবে।” এবারে সেই দিকে কড়া নজর দিচ্ছে প্রশাসন।
দীপাবলিতে (Diwali 2025) শুধুমাত্র ‘সবুজ বাজি’ বিক্রির অনুমতি
পুলিশ জানিয়েছে, বাজি বাজারে এবার কেবলমাত্র NEERI (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট) অনুমোদিত ‘সবুজ বাজি’ বিক্রি করা যাবে। প্রতিটি বাজির প্যাকেটে থাকবে QR কোড, যা স্ক্যান করে দেখা যাবে বাজিটি বৈধ কি না। যেসব বাজির কিউআর কোড নেই বা অনুমোদন নেই, সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়া নিয়ম না মানলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য বাজি বিক্রিতে কড়া নিয়ম
বাজি বাজারে বিক্রেতাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিতার বলা হয়েছে-
- প্রতিটি দোকানে থাকতে হবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, দু’টি জলভর্তি বালতি এবং পর্যাপ্ত বালিভর্তি বালতি।
- দোকানের শেড তৈরি করতে হবে অগ্নিনিরোধক উপকরণে।
- দুটি দোকানের মাঝে থাকতে হবে অন্তত তিন মিটার দূরত্ব।
- এক ক্লাস্টারে সর্বাধিক ৫০টি স্টল বসবে।
- বিদ্যুৎ সংযোগের সব তার ইনসুলেটেড থাকতে হবে।
- বিক্রেতাদের আগে থেকেই দমকল, সিইএসসি, বিদ্যুৎ দপ্তর ও ভূমি দপ্তরের অনুমতি পত্র জমা দিতে হবে।
- মাঠে রান্না করা বা আগুন জ্বালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দল নিয়মিত বাজি বাজারে নজর রাখবে। NEERI–র প্রতিনিধিরা বাজির কিউআর কোড স্ক্যান করে পরীক্ষা করবেন। কেউ নিয়ম না মানলে স্টল বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সব নির্দেশ মানলেও শহরের নানা গলিতে বেআইনি বাজি বিক্রি বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, দীপাবলিতে (Diwali 2025) পাড়ায় পাড়ায় যে বেআইনি বাজিগুলি বিক্রি হয় সেগুলি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এগুলো বন্ধ না করলে দূষণ ও দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।