বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি নবান্নে যাতায়াতের পথেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর যানজট চোখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। তারপরেই পুলিশ কমিশনারের কাছে ফোন যায় মুখ্যমন্ত্রীর। যানজটের কারণ জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের পরই মঙ্গলবার প্রথম দফায় পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
লালবাজারের সূত্রে খবর বুধবারেই অন্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দ্বিতীয় হুগলি সেতু পরিদর্শন করেন। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ক্রমাগত যানজট হওয়ার কারণ জানতে এদিন রীতিমতো তদন্ত শুরু করেছিলেন পুলিশকর্তারা। যানজট এড়িয়ে সেতুর যান চলাচল মসৃণ করার ব্যাপারেও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
যানজটের কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এসেই ফুরিয়ে যাচ্ছে গাড়ির তেল। তাই সেতুর উপর গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক যানজট তৈরি হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, সেতুর উপর যান চলাচল মসৃণ রাখতেই তেলের ব্যারেল- ও তৈরি রাখছে কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে তৈরি থাকছে পুলিশের রেকারও।
আরও পড়ুন: বিয়েতে মদ না দেওয়াই হল কাল! কনে পক্ষকে গাড়িতে পিষে মারার চেষ্টা বরযাত্রীর
জানা যাচ্ছে যানজট এড়াতে হাওড়ার ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সারাক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক আধিকারিকরা। লালবাজার সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই ট্রাফিক পুলিশ অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। জানা যাচ্ছে তদন্ত করার পর ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা জানতে পেরেছেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দু’টি লেনের কাজ চলছে।
তাই বাকি লেনগুলির উপর চাপ পড়ায় যানবাহনের ওপরেও ব্যাপক চাপ পড়ছে। যার ফলে গাড়ি চলাচল ধীর গতির হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়াই সেতুর উপর যানজটের মূল কারণ। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে, সেতুর মাঝখানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দাঁড়িয়ে পড়ছে গাড়ি। ঠেলে নিয়ে যাওয়ার পরও গাড়ি চালু হচ্ছে না।