এবার লক অপেও কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া! বন্দিদের জন্য রোজ থাকছে মাছ, মিষ্টি, দই, আর…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চারিদিকে শীতের আমেজ! এই সময় বাঙালির জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া হবে না তা কি আর হয়। তাহলে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দিরাই বা সেই তালিকা থেকে বাদ যায় কেন? এবার কলকাতা পুলিশের লক আপে থাকা বন্দিদের (Prisoners) পাতে এক বেলা মাছ-ভাত তুলে দেওয়ায় ব‌্যবস্থা করল লালবাজার। জানা যাচ্ছে এ বার লক আপে থাকা বন্দিদের জন‌্য খাবারের বরাদ্দের টাকা বেশ কিছুটা বাড়িয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আর তাই ফের বন্দিদের মুখে মাছ তুলে দিতে চাইছে লালবাজার। আফটার অল মাছে ভাতে বাঙালি বলে কথা।

প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়ম মত আগে সেন্ট্রাল লক আপের বন্দিদের আহারে মাছ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হত। তবে পরে একাধিক ইস্যু থাকায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমত মাছের কাঁটা দিয়ে কোনও বন্দি অপর কোনও বন্দির ওপর হামলা চালানোর একটা প্রবণতা যেমন থাকছে, তেমনই অন্যদিকে রোজ মাছ খাওয়ানো কিছুটা ব্যয় সাপেক্ষও বটে।

আরও পড়ুন: ‘BJP-র জয় নয়, ওরা মমতার স্কিম নকল করেছে’, তিন রাজ্যে গেরুয়া সুনামি নিয়ে ফোঁস তৃণমূলের

তাই মাছ বন্ধ করে তার বদলে ডিম দেওয়ার হত। তবে অনেক বন্দিরই ডিমে অ‌্যালার্জি, আবার কারও কারও হজমে সমস্যা। তাই বন্দিদের পাতে ফের রুই, কাতলা বা মৃগেল রাখতে চাইছে লালবাজার। লালবাজারের অর্ডার অনুযায়ী, প্রাতরাশে থাকবে চা ও রুটি। কেউ চা না খেলে তার বদলে বন্দিকে দেওয়া হবে মিষ্টি বা দই।

lalbazar 1

ওদিকে বন্দিদের মধ‌্যাহ্নভোজন ও নৈশভোজনের মেনুতে থাকবে ভাত, রুটি, ডাল, সবজি, মাছের ঝোল। যারা মাছ খাবে না তাদের জন্য থাকছে ফল বা সুষম খাদ‌্য। একই মেনু। এক এক জন বন্দির জন্য দিন প্ৰতি ১৪.৫ গ্রাম মাছ বরাদ্দ করা হয়েছে। লালবাজারের নির্দেশ মত, একদিন পর পর বন্দিদের মোট ২৯ গ্রাম মত মাছ দেওয়া হবে। কোনও রকম ঝুঁকি এড়াতে ছোট মাপের মাছ দেওয়া হবে যার কাঁটাও ছোট হবে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর