বাংলাহান্ট ডেস্ক : ট্রাফিক জরিমানার (Traffic fine) টাকা আত্মসাৎ করেছেন পুলিশ কর্মীরা। এই অভিযোগের পর হিসাব মেলাতে গিয়েও ধরা পরল গোলমাল। এরপর শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে সামনে আসে টাকা তছরুপের অভিযোগ। ট্রাফিক জরিমানার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এবার চাকরি হারালেন কলকাতা পুলিশের দুই কনস্টেবল। এই ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ মহল জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।
তদন্তে উঠে এসেছে এই দুই কনস্টেবল পরিকল্পনা করেই টাকা তছরুপ করেছিলেন। তদন্তে দেখা যায় ওই দুই কনস্টেবল আত্মসাৎ করেছেন ট্রাফিক জরিমানার প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। এই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। তদন্তে টাকা তছরুপের সত্যতা প্রমাণিত হয় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কনস্টেবল রাজীব রায় এবং শুভঙ্কর দেবের বিরুদ্ধে। এরপর দুজনকেই বরখাস্ত করা হয় চাকরি থেকে।
আরোও পড়ুন : অসংখ্য শূন্যপদ, মাধ্যমিক পাশেই মিলবে চাকরির দুর্দান্ত সুযোগ! মহিলাদের নিয়োগ করবে এই দপ্তর
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজীব রায় কর্মরত ছিলেন টালিগঞ্জ থানায়। ট্রাফিক গার্ডে কাজ করতেন শুভঙ্কর দেব। পুলিশের যাবতীয় সরঞ্জাম ইতিমধ্যেই এই দুজনকে জমা দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের অফিসে। ট্র্যাফিক জরিমানা বাবদ যে টাকা ওঠে তা প্রতিদিন চলে যায় সংশ্লিষ্ট গার্ডে। এরপর ট্রেজারিতে যায় সেই টাকা।
আরোও পড়ুন : ভাত, ডাল, ডিম অতীত! মিড ডে মিলে পড়ুয়ারা পেল গরম গরম বিরিয়ানি
সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক গার্ডের ওসি যাচাই করে দেখেন পুরো ব্যাপার। পুলিশ সূত্রে খবর, জরিমানার টাকা জমা দিচ্ছিলেন না অভিযুক্ত এই দুই কনস্টেবল। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এনারা কর্মরত ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডে। ট্রাফিক সার্জেন্টরা সেই সময় জরিমানার টাকা তাদের কাছে জমা করতেন। কিন্তু সেই টাকা ট্রেজারিতে জমা না দিয়ে এই দুই কনস্টেবল আত্মসাৎ করেন।
তদন্ত শুরু হলে দেখা যায় এই দুইজন কনস্টেবল মিলে ২২ লক্ষ টাকা পকেটস্থ করেছেন। তবে ভুয়ো নথি তৈরি করে এই দুই কনস্টেবল দেখিয়েছেন যে তারা টাকা জমা দিয়েছিলেন। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই দুই কনস্টেবলকে। তদন্তে এই দুইজন স্বীকার করে নেন টাকা আত্মসাৎ এর কথা। জরিমানা বাবদ তারা ফেরত দেন ৬ লক্ষ টাকা। এরপর দুইজনকে বরখাস্ত করা হয় কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।