ফের জ্বলে উঠলেন এটিকের অজি স্ট্রাইকার উইলিয়ামস। চেন্নাই এর ঘরের মাঠে চেন্নাই এর বিরুদ্ধে গোল করে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল এটিকে আর এটিকের এই জয়ের পেছনে মূল কারিগর উইলিয়ামস। প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টারের কাছে হারের মুখ দেখতে হয় এটিকেকে, আর তারপরে দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নেয় হাবাসের দল এটিকে। হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে উইলিয়ামসের জোড়া গোলের উপর ভর করে হায়দ্রাবাদ কে 5-0 ব্যবধানে হারায় এটিকে। আর তারপরে এই চেন্নায়ের বিরুদ্ধে 1-0 গোলে জয় তুলে নেয় এটিকে। এই জয়ের সুবাদে তিন ম্যাচ খেলে দুটি জয়ের নিরিখে আপাতত লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল কলকাতার এই ফ্রাঞ্চায়সি দলটি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে কিছুটা হলেও কলকাতার থেকে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল চেন্নাইয়ের দলটি। কিন্তু চেন্নাই স্ট্রাইকারদের দুর্বলতা এবং ঠিকমতো ফিনিশ না করতে পারার ফলে বারেবারে গোলের সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় চেন্নাই। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে কাজের কাজটি করে ফেলে কলকাতা।
ম্যাচের 48 মিনিটে প্রবীর দাসের একটি কাট বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে সোজা পৌঁছায় উইলিয়ামসের কাছে, আর সেই বল থেকে গোল করতে কোনো রকম ভুল করেননি উইলিয়ামস। বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বল জড়িয়ে দেয় বিপক্ষ দলের জালে। সেই সাথে সাথে 1-0 ব্যবধানে এগিয়ে যায় কলকাতা। হায়দরাবাদ ম্যাচের পরে এই ম্যাচেও দুরন্ত খেলেন বাংলার ফুটবলার প্রবীর দাস। সোদপুরের এই ছেলেটির দুর্দান্ত সব পাশের ফলে এটিকে দল এত বেশি পরিমাণে প্রতি ম্যাচে গোল করতে সক্ষম হচ্ছে। আর তাই এটিকের জয়ের পিছনে প্রবীর দাসের গুরুত্ব কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না ফুটবল সমর্থকরা।
আর পিছিয়ে পড়ার পরে চেন্নাইয়ের আক্রমণ আরো তীব্র আকার ধারণ করে, ম্যাচের শেষ 10 মিনিটে পুরোপুরিভাবে আক্রমণে চলে আসে চেন্নাই। কিন্তু এটিকে ডিফেন্ডারদের দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্সের জেরে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় চেন্নাই দলটি।