বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা মানে যেমন হাওড়া ব্রিজ, ইডেন গার্ডেন্স, তেমনই হলুদ ট্যাক্সিও (Yellow Taxi)। তিলোত্তমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই ট্যাক্সিগুলি। যদিও বিগত কয়েক বছরে এর সংখ্যা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে যেগুলি রাস্তায় রয়েছে তার মেয়াদও বেশিদিন নয়। এই আবহে এবার হলুদ ট্যাক্সি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty)।
হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi) ‘বাঁচাতে’ বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী!
২০০৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, শহর কলকাতায় ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনও কমার্শিয়াল গাড়ি নামানো যাবে না। সেই নিয়ম অনুযায়ী গত বছর প্রায় ৪৫০০ হলুদ ট্যাক্সি বাতিল হয়েছে। চলতি বছর আরও প্রায় ২৫০০ হলুদ ট্যাক্সি বসে যাওয়ার কথা। তাহলে কি এবার শহর থেকে মুছে যাবে এই ‘নস্ট্যালজিয়া’? অনেকের মনেই দেখা দিয়েছিল এই প্রশ্ন। এই আবহে হলুদ ট্যাক্সি বাঁচাতে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, হলুদ ট্যাক্সি (Yellow Taxi) বিষয়ক সমস্যার সমাধানসূত্র বের করার আবেদন জানিয়ে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকা হয়। গতকাল এআইটিইউসি অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটরস কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বের সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী বৈঠক করেন।
আরও পড়ুনঃ আরও বেশি মানুষ পাবে সুবিধা! রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে বড় ‘সুখবর’
রিপোর্ট বলছে, অন্যান্য গাড়িকে কীভাবে হলুদ ট্যাক্সি হিসেবে চলার অনুমতি প্রদান করা যায় সেটা খতিয়ে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে এই বৈঠকে। সেই সঙ্গেই যাত্রী সাথী অ্যাপে ভাড়ার হার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাপের ভাড়ার হার হলুদ ট্যাক্সির মিটারে চালু করতে বলেন ট্যাক্সি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এর পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাক্সি চালকদের নতুন গাড়ি কেনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) যাতে সহায়ক নীতি নেয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, পরিবহণ স্নেহাশিস চক্রবর্তী বৈঠকে বলেন, হলুদ ট্যাক্সির (Yellow Taxi) মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে রাজ্য সরকার সহানুভূতিশীল। পাশাপাশি বাকি সকল সমস্যা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।