বাংলাহান্ট ডেস্ক: রোজের ইঁদুর দৌড় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু বিনোদনের জন্য মানুষ ভিড় জমায় নেটপাড়ায়। কিন্তু এই নেটনাগরিকদেরই একাংশ এই মাধ্যমটাকে গায়ের জ্বালা মেটানোর জায়গা বানিয়ে তুলেছে। অন্যকে ছোট করে, কাদা ছিটিয়েই সুখ তাদের। আর এই ট্রোলারদের (Troll) সমবেত আক্রমণের বলি হন মূলত তারকারা।
বডি শেমিং নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। বড়পর্দা হোক বা ছোটপর্দা, কেউই কু্ৎসিত বাক্যবাণের হাত থেকে রেহাই পায় না। নামতে নামতে ক্রমেই সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ট্রোলাররা। সম্প্রতি এমনি অবমাননাকর মন্তব্য শুনে প্রতিবাদ করেছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)।
মেয়ে আর কয়েকজন বান্ধবীকে নিয়ে গোপালপুর সি বিচে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। ট্রিপ থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন কনীনিকা। সকলকেই সুইসসুটে দেখা গিয়েছে ছবিগুলিতে। একটি ধূসর রঙের মনোকিনি পরেছিলেন পর্দার ‘সহচরী’। কিন্তু কনীনিকা ও তাঁর সহচরীদের সাঁতারের পোশাকে দেখে তীর্যক মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
কেউ বলছেন, আয় তবে সহচরী দেখা বন্ধ করে দেবেন। আবার কারোর প্রশ্ন, ধর্ম কি এই ধরনের পোশাক পরার শিক্ষা দেয়? কয়েকজন আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে ‘জলহস্তী’ পর্যন্ত বলে কটাক্ষ করেছেন কনীনিকা ও তাঁর বান্ধবীদের।
https://www.instagram.com/p/CfEDXxpP6An/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
না, চুপচাপ কোনো কটাক্ষই হজম করেননি কনীনিকা। পালটা ব্যঙ্গের সুরে লিখেছেন, ‘কী হাসি পাচ্ছে কিছু অশিক্ষিত মানুষ দেখতে, যারা লুকিয়ে সবকিছু করে। নাইটি আর শায়া পরে সমুদ্রে নামে, সভ্যতার মুখোশ পরে আমাদের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। এরাই হল তারা যারা কথা বলার সময়ে বুকের দিকে তাকিয়ে কথা বলে।’
ধিক্কার দিয়ে কনীনিকা আরো লিখেছেন, ‘ছি! সমুদ্র দেখলো না দেখলো শুধু চেহারা! অশিক্ষিত বলা ভুল, এরা হল সেই খরগোশ যারা সবকিছু করে আর ভাবে কেউ দেখছে না।’ কনীনিকার উচিত জবাব প্রশংসা কুড়িয়েছে শুভাকাঙ্খীদের।