ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে এই দেশে লঞ্চ হল Koo অ্যাপ! ৪৮ ঘন্টায় ডাউনলোডের সংখ্যা পেরোলো ১০ লক্ষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে টুইটারে (Twitter) চলা অস্থিরতার আবহে ক্রমশ জনপ্রিয়তা বেড়েছে ভারতের মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ Koo-র। এমতাবস্থায়, সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, তারা এবার দেশের গন্ডী ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও আত্মপ্রকাশ করতে চায়। সেইমত এবার ব্রাজিলে (Brazil) লঞ্চ হয়ে গেল Koo অ্যাপ। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলে প্রবেশ করার পরই প্রবল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে Koo।

জানা গিয়েছে, ব্রাজিলে চালু হওয়ার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ১ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন এই অ্যাপ। এদিকে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, Koo অ্যাপটি ব্রাজিলে পর্তুগিজ ভাষায় চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি, সেটি এখন ১১ টি স্থানীয় ভাষাতেও উপলব্ধ রয়েছে। সর্বোপরি, গত কয়েকদিন যাবৎ এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয় ক্ষেত্রেই ১ নম্বর স্থানে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে Koo-র CEO তথা সহ প্রতিষ্ঠাতা অপ্রেময় রাধাকৃষ্ণ জানিয়েছেন যে, “ব্রাজিলে আমাদের যা ভালোবাসা এবং সমর্থন মিলেছে তা দেখে আমরা সত্যিই উৎসাহিত। লঞ্চের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এটি গুগল স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এমতাবস্থায়, এটাই প্রমাণ হয় যে, আমরা শুধু ভারতেই নয়, বরং সারা দুনিয়াজুড়েই দেশীয় ভাষার ইউজারদের সমস্যার সমাধান করতে পারি।”

পাশাপাশি, এই অ্যাপের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক বিদাওয়াটকা জানিয়েছেন, “আমরা দেখেছি ব্রাজিলের ১ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী গত ৪৮ ঘণ্টায় Koo অ্যাপে যোগদান করেছেন এবং এটি এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ যোগদানের মধ্যে অন্যতম একটি হয়ে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দিক থেকে ব্রাজিল অত্যন্ত বড় এবং ওখানকার অধিকাংশ মানুষ পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলেন। Koo ইতিমধ্যেই অবিশ্বাস্য ফ্যান ফলোয়িংয়ের সাথে ব্রাজিলে একটি বিশাল জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে।”

Koo app

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ব্রাজিলিয়ান গায়িকা ক্লডিয়া লেইট, অভিনেতা বাবু সান্তানা, লেখক রোসানা হারম্যানের মত তারকারা ইতিমধ্যেই Koo-তে যোগদান করেছেন। শুধু তাই নয়, সেলিব্রিটি ফেলিপ নেটো এই অ্যাপে যোগদানের মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ৪.৫ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার্স অর্জন করেছেন। এমতাবস্থায়, ব্রাজিলের মধ্যে তিনি এই অ্যাপে সর্বাধিক ফলোয়ার্সযুক্ত ব্যবহারকারী হয়ে উঠেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর