বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছর পর ফের চর্চায় আরিয়ান খানের (Aryan Khan) মাদক মামলা। কোনো প্রমাণ না মেলায় আগেই নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে শাহরুখ পুত্রকে। এবার ফের আঙুল উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকেই। তদন্তে ‘ফাঁক’ থেকে যাওয়ার অভিযোগ তুলে সন্দেহ করা হচ্ছে, আরিয়ানকে নিশানা করা হয়েছিল।
আরিয়ান মামলায় প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারী সমীর ওয়াংখেড়ে সহ তাঁর টিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ তদন্তকারী দলের চার্জশিটে ৭-৮ জন আধিকারিকের নাম রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে বেআইনি তদন্তের অভিযোগ রয়েছে। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল আর খান।
শাহরুখ ও আরিয়ানের সমর্থনে টুইট করেছেন কেআরকে (KRK)। নিজেই কিছুদিন আগে জেলের ঘানি টেনে এনেছেন। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, বলিউডের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যই ‘শাস্তি’ পেয়েছিলেন কেআরকে। কিন্তু তিনি তো চুপ থাকার পাত্র নন। এবার ফের বিতর্কিত বিষয় নিয়ে নাড়াঘাঁটা শুরু করেছেন তিনি।
টুইটে কেআরকে লিখেছেন, ‘NCB-র অন্তর্বর্তীকালীন তদন্তের ভিত্তিতে আরিয়ান খানকে ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তাই এখন প্রত্যেকটি নির্লজ্জ মিডিয়া হাউসের উচিত মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য আরিয়ানের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমা চাওয়া। এমনকি বিনা দোষে ২৮ দিন তাঁকে জেলে রাখার জন্য সরকারেরও উচিত তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।’
According to Internal investigation of #NCB #AryanKhan was framed in a fake case. So now every shameless media house should say officially sorry to Aryan for doing his media trial. Even Government should give him compensation for keeping him in jail for 28 days without any crime.
— KRK (@kamaalrkhan) October 18, 2022
গত অগাস্ট ৩০০০ পাতার একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিটের তরফে। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের দাবি, তদন্তে অনেক ফাঁকফোঁকর ছিল। উদাহরণ স্বরূপ, যখন আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের ক্রুজ থেকে গ্রেফতার করা হয় তখন তাঁদের আটক করার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিট। তদন্তে আইনি ফাঁকের অভিযোগ জানিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে আরিয়ানকে সম্ভবত নিশানা করা হয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রায় এক মাস আরিয়ান জেলবন্দি থাকার পর ছাড়া পেয়েছিলেন। গত মে মাসে NCB-র তরফেই জানানো হয়েছিল, শাহরুখ পুত্রের বিরুদ্ধে মাদক সেবনে বা ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছিল। এখন ফের সিট তদন্তে ফাঁকের অভিযোগ করে NCB-র দিকেই আঙুল তোলায় লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।