বাংলাহান্ট ডেস্ক: বহুদিন বাদে টুইটারের ট্রেন্ডিং কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut) নাম। যেদিন থেকে এলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকেই কঙ্গনার নাম ঘোরাফেরা করছে ট্রেন্ডিং তালিকায়। দাবি উঠছে তাঁর সাসপেন্ডেড অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এবার কামাল আর খান (Kamal R Khan) ওরফে কেআরকে-ও সুর চড়ালেন একই দাবিতে।
বিগত কিছুদিন ধরে অনেকেই দাবি তুলছেন, কঙ্গনার সাসপেন্ড হওয়া টুইটার অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দিতে হবে। টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডরসের সময়কালে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে চিরতরে টুইটার থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী। এখন এলন মাস্ক মাইক্রো ব্লগিং সাইটের দায়িত্ব নিয়ে পুরনো কর্তাদের সবাইকেই ছেঁটে ফেলেছেন।
তাই এখন বাক স্বাধীনতার প্রসঙ্গ টেনে কঙ্গনা এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাসপেন্ডেড টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত আনার দাবি তোলা হচ্ছে। স্রোতে গা ভাসালেন কেআরকেও। কঙ্গনার বন্ধ হওয়া টুইটার অ্যাকাউন্টের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘এলন মাস্ক, এটা বলিউডের টপ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের সাসপেন্ডেড অ্যাকাউন্ট। এত বড় একজন তারকার বাক স্বাধীনতা না থাকাটা অত্যন্ত অবিচার। আপনার কর্মীদের বলুন ওঁর অ্যাকউন্টটা ফিরিয়ে দিতে। ধন্যবাদ।’
টুইটার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ইনস্টাগ্রামেই নিজের মতামত ব্যক্ত করতেন কঙ্গনা। বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য ইনস্টাগ্রাম স্টোরিই হয়ে উঠেছিল তাঁর অস্ত্র। কিন্তু সম্প্রতি নাকি ইনস্টাগ্রাম থেকেও দুবার সাবধানবাণী শুনেছেন তিনি। তাই এখন তাঁর টিমই ম্যানেজ করে কঙ্গনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি।
https://twitter.com/kamaalrkhan/status/1586944977011200000?t=f2_AMQ_hR-o3gmUysqZSyA&s=19
প্রসঙ্গত, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গত বছর মে মাসে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় কঙ্গনার অ্যাকউন্ট। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কুইন অভিনেত্রী।
একটি টুইটে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। গুন্ডাইকে মারার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাই প্রয়োজন। উনি একজন ভয়াবহ দানবের মতো। তাঁকে আটকানোর জন্য ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদীজি।’ এরপরেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট।