বাংলা হান্ট ডেস্ক : উন্নাও গণধর্ষণ এবং খুন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার।মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে আপাতত তিন দিনের রেহাই পেলেন বিজেপি বিধায়ক। যদিও মঙ্গলবার শুনানির পর সাজা ঘোষণার কথা ছিল কিন্তু অনিবার্য কারণ বশত তা পিছিয়ে 20 ডিসেম্বর অবধি করা হয়েছে। অর্থাত্ 20 ডিসেম্বর তারিখে ভবিষ্যত্ নির্ধারিত হবে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের।দোষী প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিঙ্গারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন সকলেই এমনকি সিবিআইয়ের তরফ থেকে মঙ্গলবার তাঁর কঠোরতম শাস্তির দাবি তোলা হয়।
যদিও সেই শুনানি আপাতত স্থগিত করে দিয়ে 3 দিনের জন্য রেহাই পেলেন বিজেপি বিধায়ক যদিও তিন দিনের অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশবাসী। সোমবার উন্নাও গণধর্ষণ এবং খুন কাণ্ডে এই বিজেপি বিধায়ককে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তার পর দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়।উল্লেখনীয়, কুলদীপ সিং সেঙ্গারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণের মামলায় তিস হাজারি আদালতে শুনানি চলছি। সেঙ্গারের উপর এখনো আরও তিনটি মামলা দায়ের আছে, সেটা দিল্লীর বিশেষ সিবিআই আদালতে চলছে। এখন সেঙ্গারকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কুলদীপ সেঙ্গারকে ২০১৮ সালের ১৪ই এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আদালত শশি সিংকে এই ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু শশি সিংয়ের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় আর না এই মামলায় সরাসরি তাঁর ভূমিকার স্পষ্টতা না পাওয়ায়, তাঁকে এই মামলা থেকে মুকুব করে দেয়। কয়েক সপ্তাহ আগে ভোরবেলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য রায়বেরিলি স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেরোলে উন্নয়ের নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়।
আর রাস্তা আটকে পেট্রোল জেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, গায়ে আগুন নিয়েই প্রায় কয়েক কিলোমিটার পথ ছুটতে হয় ওই তরুণীকে। তখনই প্রায় তাঁর দেহের নব্বই শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।এবং পরে তাঁর মৃত্যু হয়।