বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘হুজুগে বাঙালি’, এই অপবাদ অনেকদিন ধরেই শুনতে হয়। তাতে অবশ্য বিশেষ আপত্তি প্রকাশ করে না কেউ। সব বিষয়েই হুজুগে মাতে বাঙালি। চট করে কানে কোনো একটি গানের সুর নাড়া দিয়ে গেলেই রাতারাতি সে গান হিট (Viral Song)। এমন উদাহরণ তো বড় কম নেই। আর ঠিক এই বিষয়টা নিয়েই সম্প্রতি কটাক্ষ শানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী কুমার শানু (Kumar Shanu)।
আগামীতে জি বাংলার জনপ্রিয় গানের রিয়েলিটি শো সারেগামাপার এক বিশেষ পর্বে অতিথি হয়ে আসবেন কুমার শানু। শুটিংয়ের ফাঁকেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সাক্ষাৎকারের মাঝে ওঠে ভাইরাল গানের প্রসঙ্গ। সোশ্যাল মিডিয়া এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে আঠার মতো আটকে।
অত্যন্ত জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে নেটমাধ্যম। সে গুরুত্বপূর্ণ প্রচারের ক্ষেত্রেই হোক বা এমনিই বিনোদনের জন্য নেটদুনিয়ার গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারবে না কেউই। এই নেটমাধ্যমই এখন হয়ে উঠেছে রাতারাতি খ্যাতি পাওয়ার সবথেকে সহজ মাধ্যম। প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত গান হোক বা স্বরচিত কোনো সুর সবই এখন ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একসূত্রে গেঁথে যাচ্ছে দুবরাজপুর থেকে দুবাই।
এ প্রসঙ্গে এতদিন পর মুখ খোলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কুমার শানু। বাস্তবটাকেই তুলে ধরেছেন তিনি। গায়ক বলেন, মানুষ হুজুগে মাতে। ভাইরাল গানও তো হুজুগের মতোই। কিছুদিন খুব চলবে, ভাইরাল হবে আবার মরেও যাবে। ওষুধ হল আসল গান। কুমার শানুর কথায়, বাদাম বিক্রি করতে করতে একটু সুরে কেউ কিছু বলছে, সেটা তো আর গান হয়ে যায় না। গান গাইতে হলে দরকার সাধনা। সেই সাধনা তাদের নেই।
তবে কুমার শানু এও বলেন, হুজুগের জন্য যদি ভাইরাল হওয়া মানুষটার উপার্জন হয়, তার উপকার হয় সেটা ভালোই। তাতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এসব গান বেশিদিন টেকে না। হারিয়ে যেতে বাধ্য। যাদের সঠিক সাধনা আছে তাদের গান চিরস্থায়ী হয়। সাফল্য না পেলেও তাদের কণ্ঠে গান থেকে যায়। কেউ বাদাম বিক্রি করতে করতে ভাইরাল হয়ে গেলে তাঁর গান কখনোই চিরস্থায়ী হয় না, সাফ বক্তব্য কুমার শানুর।