বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন যাচ্ছে ততই যেন আরজি কর কান্ড নিয়ে মন্তব্যের ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। গত বছরের আগস্ট মাসের এই ঘটনায় শুরু থেকেই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করেছেন কুণাল। এবার তাঁর নিশানার খোদ নির্যাতিতার বাবা-মা। আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার শিয়ালদহ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
তিলোত্তমার বাবা-মা’কে নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার ও সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, পরিবারের তরফে কোনও আপিল করা হয়নি। নির্যাতিতার পরিবারের অপর আইনজীবী গার্গী গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত পরিবার ফাঁসি চায় না। তাই আমরা আবেদন করিনি।’
তারপর তাদের আচরণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিলোত্তমার বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে সরাসরি এদিন তিনি বললেন,’নির্যাতিতার বাবা-মা সঞ্জয়ের ফাঁসি চান না। কাদের কথাতে চলছেন তাঁরা। কারা রয়েছে পেছনে! সিপিএম,অতিবাম আর জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ওদের মুখে! নির্যাতিতার বাবা-মা সঞ্জয় রায়কে প্রটেক্ট করছেন। এরপর তো সঞ্জয়ের জন্য জেলে খাবার নিয়ে যাবেন। রহস্যজনক আচরণ করছেন তাঁরা।’
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায় ,’দল বা সরকারের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। প্রফেশনালি অভিযোগ উঠেছে। কমপ্লেন হয়েছে। আন্দোলন করেছিল বলে সাত খুন মাফ হয় নাকি!’
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের লড়াইয়ে শিবসেনার ‘এন্ট্রি’? ঘুরে যাবে আরজি কর মামলার মোড়? তোলপাড় বাংলা
কলকাতা হাইকোর্টে নির্যাতিতার পরিবার সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি না চাওয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-ও। তাঁর অভিযোগ,’পরিবার এখন রাজনীতি করছেন। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং নির্যাতিতার পরিবারের কথা যেন এখন এক হয়ে গিয়েছে।’
একইসাথে তিনি এদিন বলেছেন, ‘ওঁর বাবা মা কি চাইছেন অন্য মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে ফাঁসির সাজা হবে না? আসলে ওরা এখন রাজনীতি করছেন। ওরা এখন সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিতে ঢুকে গিয়েছেন। দুঃখের সঙ্গে বলছি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের কথা আর ওদের কথা এখন এক হয়ে গিয়েছে’। একই সাথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ফাঁসির সাজা চাওয়া বা না চাওয়া তাঁর বাবা মার ওপর নির্ভর করে না। একজন ভিকটিম হয়েছেন কিন্তু রায় যেটা হয় সেটা গোটা সমাজের জন্য হয়। যাতে ওই ধরনের ঘটনা না ঘটে,অপরাধ আর কেউ না করেন।’