বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার কি তবে বড়সড় ফাটল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বে? এদিন স্কুল সার্ভিস নিয়োগ কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের মন্তব্যে যে সেই ইঙ্গিতই দারুণভাবে স্পষ্ট তেমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল। শুক্রবার এসএসসি নিয়োগ মামলায় বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তাঁর দাবি, এই ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করলে তিনি সব কিছু বুঝিয়ে বলতে পারবেন। কার্যতই তাঁর এহেন মন্তব্যে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন এসএসসি নিয়োগ দূর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটা প্রশাসনিক বিষয়। আমি শুধু এটুকু জানি যে একটা সময় শিক্ষকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সেই ধর্ণার পর মুখ্যমন্ত্রী দশজনের একটি কমিটি তৈরি করে দেন। তার মধ্যে পাঁচ জন হবু শিক্ষক এবং পাঁচজন প্রশাসনের তরফে ছিলেন।’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে যা করার তিনি করেছেন। এতো বড় প্রশাসন, ৯৯% ঠিকঠাক ভাবে হয়, তার পরেও যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে তা হলে তা আমার জানার কথা নয়। তা নিয়ে পার্টির মহাসচিব তথা তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে বলতে পারবেন।’ একই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘এসএসসির যে কেলেঙ্কারির খবর আসছে তা ব্রাত্য বসুর আমলে হয়নি।’
কুণাল ঘোষের এহেন মন্তব্যকে ঘিরেই তুঙ্গে বিতর্ক। তবে কি এসএসসি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একঘরে করে দিতে চায় তৃণমূল? এদিন কুণালের কথায় একথা স্পষ্ট যে, তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করার করেছেন। তাঁর হাতে আর কিছুই নেই। এখনও অবধি যাদের হাতেই সবকিছু তেমন কারও দিকেই কি তবে বিশেষ ভাবে নির্দেশ করলেন কুণাল?
স্কুল সার্ভিস কমিশন দূর্নীতির মামলা সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসির দুটি মামলাতেই বারবার সিবিআইকে আদালত জানিয়েছে যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি বা প্রভাবশালীকেই জেরা করতে পারে সিবিআই। সেই মতন কড়া হাতেই মামলা সামলাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলও। এই মামলা নিয়ে যে বিস্তর জল ঘোলা হতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, এদিন কুণাল ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।