বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র এগিয়ে থাকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যখন উচ্ছ্বাস, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মন্তব্যে চড়ছে বাংলার রাজনীতির পারদ। বিহারে এনডিএ-র সম্ভাব্য জয়ের পর তিনি যে ‘বাংলা দখল’-এর হুঙ্কার দেন, তারই জবাবে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
বিহারে মুখ থুবড়ে পড়ল আরজেডি
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রাথমিক গণনা শুরু হতেই একচেটিয়া দাপট দেখাতে শুরু করে এনডিএ শিবির। নীতীশ কুমার-এর জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি এবং অন্যান্য জোটসঙ্গীরা গণনা শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছে ম্যাজিক সংখ্যা। অন্য দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহাগঠবন্ধন। পিছিয়ে পড়তে শুরু করেন আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদব।
এই উত্থানে খুশির হাওয়া দিল্লিতেও ছড়িয়ে পড়ে। এনডিএর প্রাথমিক সাফল্য ঘিরে আশাবাদী মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, “এই জয় বিজেপির। এবার বাংলার পালা।” তিনি স্পষ্ট বলেন, বিহারের সাফল্য গেরুয়া শিবিরের মনোবল বাড়িয়েছে, আর এখন লক্ষ্য বাংলায় ক্ষমতা দখল।
কী বলেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)?
গিরিরাজ সিংয়ের এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “বিহার। এখনও পর্যন্ত। ওটা বিহারের সমীকরণ। বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বাংলায় প্রভাব পড়বে না।” কুণালের দাবি, বাংলার রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মান, এই বিষয়গুলোই গুরুত্ব পায়। কুণাল এদিন আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, “২৫০-র বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”
এদিন কুণাল ঘোষ কংগ্রেসকে নিশানা করে আরও বলেন যে, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস বারবার ব্যর্থ হচ্ছে, সেটা বিহারের ফলাফলেও প্রকট হয়ে গেল। পাশাপাশি, বিহারে বিজেপি–নীতীশ জোট কোন দিকে এগোয়, সেই বিষয়টিও কৌতূহলের জায়গা রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গিরিরাজ সিংয়ের ‘বাংলা দখলের’ মন্তব্যকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় SIR ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের চক্রান্ত বাড়বে। এজেন্সি এবং কেন্দ্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ SIR নিয়ে কড়া কমিশন! আজ বিকেলের মধ্যেই ‘বড়’ পদক্ষেপের প্রস্তুতি
তৃণমূল মুখপাত্রের (Kunal Ghosh) দাবি, “মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগেই বিজেপির সব চক্রান্ত ব্যর্থ করবে তৃণমূল।” তিনি আরও লেখেন, বাংলাকে অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে হুমকি দিলে লাভ নেই। বাংলার মানুষের আত্মসম্মান ও অধিকারকে আঘাত করলে রাজনৈতিক সুবিধা মিলবে না।












