বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য। হঠাৎ বড় ধরনের দুর্ঘটনায় আহত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নিজের ফ্ল্যাটের বাথরুমে পা পিছলে পড়ে গুরুতর চোট পান তিনি। বাড়ির লোকেরা তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে কাছাকাছি একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান।
মাথায় গভীর আঘাত, পায়ের অবস্থাও খারাপ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)
নার্সিংহোমে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় এবং এক্স-রে করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা জানান, কুণালবাবুর (Kunal Ghosh) মাথায় গভীর আঘাত লেগেছে এবং পায়ের অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। তাই দ্রুত সিটি স্ক্যানের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দুপুরে তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র মারফত খবর, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্টে দেখা গেছে ডান পায়ের টিবিয়া ও ফিবুলা দু’টিই গুরুতর ফ্র্যাকচার হয়েছে, একাধিক জায়গায় হাড় চূর্ণ। পাশাপাশি মাথায় ইন্টারনাল ব্লিডিং-এর আশঙ্কাও রয়েছে। এই কারণে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় তাঁর পায়ে জরুরি অস্ত্রোপচার হবে। সেক্ষেত্রে প্লেট ও স্ক্রু বসিয়ে হাড় জোড়া লাগাতে হতে পারে। মাথার চোট নিয়েও নিউরো সার্জনরা টানা নজরদারিতে রেখেছেন তাঁকে।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহল থেকে উদ্বেগের বার্তা আসতে শুরু করে। নিজে ফোন করে কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি সর্বোত্তম চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এখন কেমন আছেন কুণাল ঘোষ?
বর্তমানে কুণালবাবু (Kunal Ghosh) আইসিইউ-তে আছেন। জ্ঞান রয়েছে এবং কথা বলতে পারছেন, তবে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতর। চিকিৎসকদের মতে, অপারেশন সফল হলে পা পুরোপুরি সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু কমপক্ষে তিন থেকে চার মাস বিশ্রামে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও দীর্ঘদিন যুক্ত ৫৭ বছর বয়সী কুণাল ঘোষ। নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে SIR বিতর্কে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ SIR মামলায় বড় ব্রেক! সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত থামল হাইকোর্ট
একসময় সারদা চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কুণাল (Kunal Ghosh)। প্রায় ১১ বছর আগে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থাকাকালীন তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ২১ নম্বর সেলে ঘটে সেই ঘটনা। সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে সেই ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছিলেন। এই মুহূর্তে তাঁর চিকিৎসা চলছে পুরোদমে। রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষও তাঁর দ্রুত আরোগ্যের কামনা করছেন।












