কলকাতার বুকে নেটমাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্ৰিয় এই মন্দিরে চলছে “তোলাবাজি”! বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কলকাতার একটি কালী মন্দির তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, ওই মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ভক্তদের রীতিমতো ঢল নেমেছে। কিন্তু, অপরিসর গলি এবং ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত ওই কালী মন্দিরই এবার উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জানিয়ে রাখি যে, বুধবার এই মন্দিরে উপস্থিত হন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেখানেই চাঞ্চল্যকর বিষয় উপস্থাপিত করেন তিনি।

কি জানিয়েছেন কুণাল (Kunal Ghosh):

আসলে ওই মন্দিরে “তোলাবাজি”-র পাশাপাশি ভক্তদের ভিড়ে রাস্তা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে, ওই এলাকায় তুমুল উত্তেজনার পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায়, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা ওই মন্দিরের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর সাথে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অরুপ চক্রবর্তীও। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথাও বলেন কুণাল।

Kunal Ghosh made a big complaint about this temple in Kolkata.

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই মন্দিরের ভিডিও এবং ছবি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যার ফলে নিয়মিতভাবে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয় ওই মন্দিরে। একাধিক সেলিব্রিটিকেও এই মন্দিরে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: গম্ভীরের রাগ, প্লেয়ারদের মধ্যে লড়াই! বছরের শুরুতেই ফাঁস টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিং রুমের “উত্তপ্ত” আলোচনা

এদিকে, মন্দিরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণেই চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দাবি করেছেন যে, একটি ছোট রাস্তার ওপরে ওই মন্দিরটি অবস্থিত। যার ফলে হাঁটাচলাও ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না সেই রাস্তায়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই মন্দিরকে সামনে রেখে টাকা তোলার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণেই নতুন বছরের প্রথম দিন স্থানীয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে করে সেখানে পৌঁছে যান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

আরও পড়ুন: ২০২৫-এর শুরুতেই বড় ধাক্কা খেলেন আদানি! এই রাজ্য থেকে হাতছাড়া হল গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প

যেখানে গিয়ে তিনি (Kunal Ghosh) স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, মন্দিরের নামে কোনও টাকা তোলা যাবে না। কুণাল জানান, “আমাদের এই অঞ্চলে একটি মন্দির তৈরি হয়েছে। কালী মন্দির তো হতেই পারে, আমরা সবাই মা কালীর ভক্ত। তবে, একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে।” এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে ওই মন্দিরের আদৌ কোনও বৈধ ট্রাস্ট রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হচ্ছে যে ওই মন্দিরটি অত্যন্ত জাগ্রত। আর সেই কারণেই ভক্তরা আবেগের বশে চলে আসছেন। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল টাকা আদায় করার পাশাপাশি ভক্তদের এটাও বলা হচ্ছে যে তাঁদের গয়না মা পছন্দ করেছেন। তাই, সেটি দিয়ে যেতে হবে। আর এইভাবেই ওই মন্দিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর