বাংলা হান্ট ডেস্ক : SLST চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের ১০০০ দিনে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও কোনও সুরাহা মেলায় ধর্নামঞ্চে মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। রাজ্যের কাছে তার আবেদন, অবিলম্বে তাদের নিয়োগ করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন।
তারপরেই ওই মহিলাকে দেখতে মঞ্চে হাজির হন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) । সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চোর চোর স্লোগান। আন্দোলনকারীরা তো জুতো ছুড়তেও পিছপা হয়নি। তবে এইসব কোনোকিছুতেই বিশেষ বিচলিত হলেননা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র। মঞ্চে এসে দেখা করলেন ঐ মহিলা চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে।
চাকরিপ্রার্থীদের কাছে বসে কুণাল বলেন, ‘‘আলোচনা থেকেই সমাধানের পথ আসে। আন্দোলন তো পালিয়ে যাচ্ছে না। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে।’’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের কথায়, কোনও না কোনও ভুল তো হয়েছে নাহলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি না পেয়ে অযোগ্যরা চাকরি পেল কীভাবে? আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে কুণালের বক্তব্য, “যদি কোনও ভুল হয়, তাহলে সেই সরকারের তরফে প্রায়শ্চিত্ত হবে।”
উল্লেখ্য, SLST প্রার্থীদের আন্দোলনের ১০০০ দিন পূর্ণ হওয়ার দিনই মস্তক মুণ্ডন করে প্রতিবাদ জানায় এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। তারপরেই মঞ্চে একে একে হাজির হন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রমুখ। তবে কুণাল ঘোষ প্রবেশ করা মাত্রই চারিদিক থেকে ভেসে আসে চোর চোর রব। ভিড়ের মধ্যে থেকে একপাটি চটিও উড়ে আসে কুণালের দিকে।
তখন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তার সঙ্গে কুণাল ঘোষের বচসাও বাঁধে। ওদিকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলে ওঠেন ‘একই সময়ে ওর এই মঞ্চে আসা ঠিক হয়নি। রাজ্য সরকারের যে প্রতিনিধি এলেন, তার লজ্জা হওয়া উচিত। বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে বলা উচিত যে, আজ চাকরির ন্যায্য দাবিতে একজন নারী মাথা মুণ্ডন করেছেন।’