স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও ঢোকেনি বিদ্যুৎ! হলদিয়ার দুই গ্রামের পরিস্থিতি দেখে হতবাক কুণাল ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই পৌঁছে গেছে জল, পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। কিন্তু এ কোন গ্রাম যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌছায়নি! অবিশ্বাস্য মনে হলেও একথা সত্যি! এই দুটি গ্রামের নাম হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সৌতনপুর গ্রাম। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকেই চলছে এইরকম সমস্যা। গ্রামের লোক বাম আমলেও বিশ্বাস করেছিলেন, তৎকালীন সরকার বুঝি অবস্থার পরিবর্তন করবে। আস্থা রেখেছিলেন তারা লাল পার্টির উপর, কিন্তু লাভের লাভ হয়নি।

তারপরেও কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামবাসীদের মনেও আশার আলো জেগেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনো গ্রামে বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি। আজও হ্যারিকেন জ্বালিয়েই পড়াশোনা করতে হয় গ্রামের বাচ্চাদের। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা বহুবার বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে জানিয়েছেন কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি। ক্ষমতায় থাকা সরকারের কাছ থেকে কোন আশ্বাস বাণী না পাওয়ার পরেই গ্রামের লোকেরা এই সমস্যার কথা বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু আধিকারীকেও জানান। কিন্তু তিনিও কোনো কথা কানে তোলেননি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

এরপরেই গ্রাম দুটি দুরবস্থার কথা চাউর হতেই গ্রামবাসীদের কথা শোনার জন্য তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ গ্রাম দুটি পরিদর্শনে যান। গ্রামের অবস্থা দেখে অবাক তিনি। তিনি নিজেও বোধহয় ভাবতে পারেননি সেই স্বাধীনতার সময় থেকেও গ্রাম দুটিতে কোনো বিদ্যুৎ পরিষেবা ও জলের ব্যবস্থা নেই। তিনি আরও প্রশ্ন করেন যে, সিপিআইএম তাহলে এতদিন ধরে কী করছিলো যে তাঁরা এই দুই গ্রামে এইসবের ব্যবস্থা করতে পারেননি। গ্রামের লোকেরা একাধিক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু আধিকারী এবং শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, গ্রামের রাস্তাগুলোর হালও খুব একটা ভালো না। কুণালের দাবী এই যে, যেহেতু পাশেই বন্দর, সেই জন্য কিছু সমস্যা থাকায় আজ পর্যন্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। আশেপাশের গ্রামগুলোতে দিব্যি জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে, সেখানে এই দুটি গ্রামই বিদ্যুৎবিহীন। এদিকে, পরের বছরই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এবার এটাই দেখার বিষয় যে এই দুই গ্রামে আদৌও বিদ্যুৎ পৌঁছবে নাকি আগের মতো সবসময়েই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকবে তারা। ফলে, এই গ্রাম দুটির অবস্থার পরিবর্তন যে নিঃসন্দেহে শাসকদলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ তা বলাই বাহুল্য।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর