কালীঘাটের কাকুর পর রহস্যময়ী নারী! নতুন চরিত্রের নাম উঠে এল কুন্তলের মুখে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে ফের উঠে এল এক রহস্যময়ী নারীর প্রসঙ্গ। কিছুদিন আগে শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal ghosh)। তার গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্ট থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার পথে এক রহস্যময়ী নারীর (Female) নাম তুললেন ধৃত কুন্তল ঘোষ।

এদিন কুন্তল জোর গলায় বলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত টাকা রয়েছে গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। দিন দিন দুর্নীতির ময়দানে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের নাম উঠে আসায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। অন্যদিকে গোপাল দলপতির দাবি আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কোনো যোগাযোগ নেই তাদের।

পাশাপাশি স্ত্রী হৈমন্তী বর্তমানে কোথায় আছেন, কী করেন সেই বিষয়েও কিছু জানেন না বলেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের কাছে দাবি করেন গোপাল। এদিন আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্যও সিবিআই এর হাতে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই তরফে বলা হয়েছে, জেরায় কুন্তল জানান উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার পিএ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে গোপাল দলপতির কাছে বিপুল পরিমান অর্থ এসেছিল। আনুমানিকভাবে যা প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা। সেই টাকাই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মুম্বইয়ের সেলোকো পার্টনার্স নামের একটি কোম্পানিতে ট্রান্সফার করা হয়েছিল বলে দাবি কুন্তলের।

প্রসঙ্গত, এই গোপাল দলপতির নামও প্রথম সামনে আনে অভিযুক্ত কুন্তলই। তবে এদিন শুধু গোপাল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ই নয়, ‘কালীঘাটের কাকু’ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন ধৃত কুন্তল ঘোষ। বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। কুন্তলের দাবি , ‘কালীঘাটের কাকু’ তাকে চেনেন ঠিকই কিন্তু তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’কে চেনেন না।

kuntal ghosh

শুধু তাই নয়, এদিন তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় জোর গলায় কুন্তল বলেন, “কালীঘাটের কাকুকে আমি চিনি না। আমার একটাই কাকু তিনি আমার বাবার ভাই।” অন্যদিকে, মানিক ঘনিষ্ট তাপসের দাবি, কুন্তল সবাইকে চেনে, সমস্ত বিষয় কুন্তল জানেন বলেও জানান তাপস। সেই কাকু জট না কাটতেই এবার সামনে এল আরও এক রহস্যময়ী নারীর নাম।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর