বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরও জটিল হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Scam)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল সভাপতি কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করে জেল সুপারকে চিঠি লেখেন তিনি।
সেই চিঠি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। জল ঘোলা হয় গোটা রাজ্য জুড়ে সেইসবের মধ্যেই এবার সিবিআই সূত্রে জানা গেল কুন্তল দাবি করেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে’ অভিষেককে তিনি চেনেন না (Kuntal Ghosh Speaks About Abhishek Banerjee)!
কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে গত শনিবারই অভিষেককে ডেকে পাঠায় সিবিআই (CBI)। নিজাম প্যালেসে ওইদিন ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরা করা হয় তাঁকে। জেরার পর বাইরে এসে কুন্তল প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘আমি চিনি না আমাদের ফোনে কোনও কথা হয়নি।’
শনিবার অভিষেককে জেরা করে যা তথ্য পাওয়া গেছে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে এবার কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে সেই জেরাতেই কুন্তল দাবি করেন, চিঠি লেখার জন্য তাঁকে কেউ চাপ দেননি। কুন্তল জেরায় আরও জানান, অভিষেকের বক্তব্য তিনি কাগজে পড়েছেন।
গত ২৯ মার্চ শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে অভিষেক দাবি করেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই জানা যায়, কুন্তল চিঠি লিখে দাবি করেছেন, অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য ‘চাপ’ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিম্ন আদালতে সেই চিঠি দেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই প্রসঙ্গ উঠতে বিচারপতি পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সিবিআই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সেই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেকের আইনজীবী। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। আগের বহাল নির্দেশই বহাল থাকে সর্বোচ্চ আদালতে।