বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নবজোয়ার কর্মসূচীতে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহার (Birbaha Hansda) কনভয়ে হামলার ঘটনায় কুড়মি সমাজ (West Bengal) সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক রাজেশ মাহাতোকে (Rajesh Mahato) আটক করেছে পুলিশ। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওপর অ্যাটাকের ঘটনায় রাজেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি, এবার তাকে বদলিও (Transfer) করা হল।
জানা গিয়েছে, গতকালই খড়গপুরের স্কুল থেকে তাকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে বদলি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন রাজেশ। কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডাকা বন্ধেও নাকি স্কুলে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, কনভয়ের ঘটনা, এরপরই গতকাল তাকে বদলি করা হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
কুড়মি সমাজের রাজেশবাবু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের বনপুরা হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে গতকালই কোচবিহারের চামতা আদর্শ হাই স্কুলে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারকে টুইটে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, “রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চলছে। এটা তারই প্রমাণ।” পাশাপাশি শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিদের এই রাজ্যের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কথাও বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। যদিও এই ঘটনার পর রাজেশ বলেন, ‘‘আমরা কেউ এই হামলায় যুক্ত নই। বহিরাগতরা কেউ বদনাম করতে হামলা করেছে।’’
অন্যদিকে হামলার অভিযোগে ঘটনার দিনই একটি কুড়মি সংগঠনের রাজ্য সভাপতি-সহ সাতজনকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে অনুপ মাহাতো, অজিত মাহাতো, অমিত মাহাতো ও মনপীত মাহাতোকে গতকালই আদালতে পেশ করা হয়। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী আপাতত তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রাজেশ মাহাতো ছাড়াও রাকেশ মাহাতো ও শিবাজি মাহাতো-সহ আরও কয়েকজনকে তল্লাশি চালিয়ে নয়াগ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কুড়মিদের দুই গোষ্ঠী মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে চার জনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।