বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইনিও এক বাদ্যকর। ফারাকটা শুধু নাম আর ব্যবসায়। ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar) পর গান গেয়ে ভাইরাল হলেন কুশল বাদ্যকর (Kushal Badyakar)। আগের জন বাদাম বিক্রেতা থেকে প্রোমোশন পেয়ে হয়েছেন শিল্পী। আর কুশল হলেন পেশায় মাছ বিক্রেতা। তবে তিনিও ভুবনের মতো শিল্পী হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেটা তো সময় বলবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাতত বেশ চর্চায় রয়েছেন কুশল বাদ্যকর। ‘মাছ নেবেন দাদা মাছ নেবেন’ গান গেয়েই ভাইরাল হয়েছেন তিনি। দূর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার বাসিন্দা কুশলবাবু। মাছ বেচেই চলে তাঁর সংসার। তবে পরিবারে গান বাজনার চল রয়েছে বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে। কুশল বাদ্যকরের দাদু ছিলেন শ্রীখোল বাদক। বাবা বাজাতেন বেহালা। সুর তালের জ্ঞান রয়েছেন কুশলবাবুর মধ্যেও।
আর পেশার উন্নতির জন্য সেই গানের প্রতিভাকেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ভুবনের মতো তিনিও নিজে গান বেঁধে সুর দিয়ে গেয়েছেন। গানে গানেই মাছ রাঁধার রেসিপিটাও বলে দিয়েছেন। ব্যবসার কাজে গান আর একটি সাইকেল তাঁর সঙ্গী। সাইকেলেই মাছের হাঁড়ি নিয়ে গান গাইতে গাইতে মাছ বিক্রি করেন কুশল বাদ্যকর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গান ভাইরাল হওয়ায় খুশি কুশল বাদ্যকর। স্ত্রী নাকি আগেই বলেছিলেন, ভুবন বাদ্যকরের মতো তিনিও ভাইরাল হবেন। জনপ্রিয়তাটা তাঁর ব্যবসার উন্নতির কাজে লাগাতে পারলেই খুশি হবেন, এমনটাই মন্তব্য করেন কুশল বাদ্যকর।
একটি ভাইরাল গানের জোরে ভাগ্যটাই বদলে গিয়েছে ভুবন বাদ্যকরের। বাদাম বিক্রি করার কাজ ছেড়ে দিয়েছেন এখন তিনি। ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি হাঁকিয়েছেন। হাতে নতুন আইফোন ১৩! হিল্লি দিল্লি ঘুরে অনুষ্ঠান করছেন। ভুবনের মতো ভাগ্য কুশল বাদ্যকরেরও হয় কিনা সেটা বলতে পারে শুধু সময়।