বাংলা হান্ট ডেস্ক: নভেম্বর মাস শুরু হতেই ব্যাংকে আসছে একাধিক নিয়মের পরিবর্তন। আর এই নিয়মগুলি আপনার আমার মতন গ্রাহকদের কাছে জেনে রাখা একান্তই প্রয়োজন। কারণ নভেম্বর মাস থেকে ব্যাংকে নিয়মে পরিবর্তন করা হবে যা গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষা বাড়াবে। এ পরিবর্তনের অন্যতম হলো কেওয়াইসি নিয়ম (KYC)। এবার জানিয়ে দেওয়া হল কত বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে।
নতুন মাস, নতুন নিয়ম! ১ নভেম্বর থেকেই বদল KYC প্রক্রিয়া (KYC)
কেওয়াইসি কথার পুরো অর্থ হল Know Your Customer (KYC)। আর এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তারা তাদের গ্রাহকদের পরিচয় যাচাই করে নেয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতারণা ও আর্থিক তছরুপ অথবা কোন অবৈধ কাজ রোধ করা। পাশাপাশি গ্রাহকদের পরিচয় ও ঠিকানা নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন: চিজি ম্যাজিক! ১০ মিনিটে ঘরেই বানান ‘রেস্তোরাঁ-স্টাইল’ পাস্তা, রেসিপি রইল
ব্যাংকে প্রতিটি গ্রাহকের প্রকৃত পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। আর এর জন্য কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আরবিআই এর নির্দেশে। কেওয়াইসি ছাড়া নতুন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা যায় না। পাশাপাশি লোন, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড প্রমুখ করা যায় না। এছাড়া পুরনো অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়ে যেতে পারে যদি আপনি কেওয়াইসি (KYC) আপডেট না করেন।
এবার জেনে নিন RBI এর নতুন নিয়মে কি বলা হয়েছে:
আর বি আই এর নতুন নিয়মে বলা হয়েছে যে একাউন্টগুলিতে কোন ঝুঁকি নেই সেই অ্যাকাউন্টগুলি দশ বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। অর্থাৎ যে একাউন্টে বিশেষ লেনদেন হয় না সেই অ্যাকাউন্টগুলি দশ বছরে আপডেট করলেই হবে।
আর যে অ্যাকাউন্টগুলোতে অল্প বিস্তার ঝুঁকি থাকবে সেগুলিকে আট বছর অন্তর ও যে একাউন্টগুলো হাইডিক থাকবে, সেই অ্যাকাউন্ট গুলোকে দু’বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। অর্থাৎ যাদের একাউন্টে বড় মাপের লেনদেন হয় তাদের দু’বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতেই হবে।
KYC করতে কি কি দরকার হয়?
KYC মূলত দুই ধরণের তথ্য যাচাই করে:
1. Proof of Identity (পরিচয়পত্র)
আধার কার্ড
প্যান কার্ড
ভোটার আইডি
পাসপোর্ট
ড্রাইভিং লাইসেন্স
2. Proof of Address (ঠিকানার প্রমাণ)
আধার কার্ড (যদি ঠিকানা দেওয়া থাকে)
বিদ্যুতের বিল / গ্যাস বিল (তিন মাসের মধ্যে)
পাসপোর্ট
রেশন কার্ড
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট
KYC করার ধরণ– তিন ধরনের কেওয়াইসি হয় ব্যাঙ্কে
১. ফিজিক্যাল কেওয়াইসি (Physical KYC)
ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হয়
প্রয়োজনীয় নথির ফটোকপি জমা দিতে হয়
সেলফি বা ফটো তুলতে হয়
২. ই-কেওয়াইসি (e-KYC)
আধার কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে যাচাই হয়
OTP ভিত্তিক ভেরিফিকেশন করা হয়
এটি সবচেয়ে দ্রুত ও নিরাপদ
৩. Video KYC
KYC আপডেট করা দরকার কেন?
KYC আপডেট করার দরকার কারণ আপনি যদি কোনো কারণে ঠিকানা মোবাইল নম্বর অথবা পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেন তাহলে আর বি আই ব্যাংক সেই সময় পুনরায় যাচাই করতে চায়। আর এটি সাধারণত প্রতি দুই থেকে দশ বছর অন্তর হয়।













