বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে শুধুমাত্র একটি এয়ারস্ট্রিপ রয়েছে নায়োমাতে। এই এয়ারস্ট্রিপকে পরিণত করা হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ বিমানঘাঁটিতে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন এই কাজ করছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রঘু শ্রীনিবাসন রবিবার এই বিষয়ে বলেছেন, লাদাখের নায়োমা বিমানঘাঁটির ২.৭ কিলোমিটার রানওয়ে নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যেই।
প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের সামরিক আধিকারিকদের মধ্যে সম্প্রতি আলোচনা হয় লাদাখে প্রায় ২০ দফায় সীমান্ত বিবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে। তবে এই আলোচনা থেকে সমাধান সূত্র মেলেনি কিছুই। বরঞ্চ নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় চিন। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে অবস্থিত নায়োমা এয়ারস্ট্রিপের পরিকাঠামগত উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ এই সময়ে দাঁড়িয়ে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরোও পড়ুন : উধাও হচ্ছে Apple, পিছিয়ে পড়ছে দিনের পর দিন! স্মার্টফোনের দুনিয়ায় এবার ফার্স্ট পজিশনে এই সংস্থা
বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রঘু শ্রীনিবাসন রবিবার বলেছেন, ‘এই প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা শিফটে কাজ করছি। সেখানকার মাটি খুবই রুক্ষ। তবে বিআরও সময় মতো সব পদক্ষেপ করছে। ভারতীয় বায়ুসেনা যাতে শীঘ্রই এই জায়গাটি ব্যবহার করতে পারে, তা নিশ্চিত করব আমরা। এতে ভারতীয় বায়ুসেনার বিকল্পও বাড়বে।’
প্রায় ২১৮ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে নায়োমা বিমানঘাঁটির প্রকল্পে। এই প্রকল্পটির শিলান্যাস হয় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। কর্নেল পনুং ডমিং নামের এক মহিলা বিআরও আধিকারিক পরিচালনা করছেন এই প্রকল্পের। বিআরও প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রঘু শ্রীনিবাসন জানান, ‘এই প্রকল্পটি ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে গেম চেঞ্জার হবে।’