গবেষণার জন্য ৭৩ বছর বয়সে ‘ডিলিট’ সম্মানে ভূষিত হলেন লক্ষণ শেঠ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদা তিনি ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএম-র সাংসদ। দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতার কথায় একপ্রকার উঠত-বসত এলাকাবাসীরা। যদিও মাঝের সময়ে একাধিক রদবদলের সাক্ষী থাকেন তিনি আর এবার সেই রাজনীতিবিদ তথা একসময় এলাকার বুকে ডাকাবুকো নেতা লক্ষ্মণ শেঠ পেলেন ‘ডিলিট’ সন্মান। সূত্রের খবর, কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। ভগবান বুদ্ধের উপর গবেষণা করার জন্যই তিনি এই সম্মান পেয়েছেন বলে খবর।

গত শনিবার হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রেক্ষাগৃহে লক্ষ্মণ শেঠকে সম্মান প্রদান করা হয়। বলে রাখা ভালো, একদা দাপুটে নেতা লক্ষ্মণ শেঠ 2019 সালে কর্ণাটকের মহীশূর ইউনিভার্সিটি থেকে ‘গান্ধীজীর গণতন্ত্র ভাবনা ও বর্তমানে তার প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন আর এরপরে কর্ণাটকের অপর এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট সম্মান যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এ সন্মান প্রসঙ্গে লক্ষণ শেঠ জানান, “2014 সালে আমার জীবনে এক নতুন দিক খুলে যায়। সেই সময়ে সিপিএম থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয় এবং তারপরেই আমি ইতিহাস নিয়ে চর্চা করার সিদ্ধান্ত নিই। স্কুল জীবনে ইতিহাস বিষয়টি আমার খুব ভাল লাগত এবং এই কারণে পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধীর উপর পিএইচডি করার কথা ভাবি এবং ডিলিট করার জন্য গৌতম বুদ্ধের জীবন নিয়ে চর্চা করি। তবে এর মাঝে বহু বাধা বিপত্তি আসে। সেই সময় আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি, তবে সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আজ ডিলিট সম্মান পেয়ে আমি আপ্লুত।”

উল্লেখ্য, গত শনিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টুমকুর ইউনিভার্সিটির রেজিস্টার ড: নির্মল রাজু। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, “শুধু ডিলিট সম্মান নয়, 70 বছর বয়সে যেভাবে লক্ষ্মণ শেঠ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, সেটা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। তবে ডিলিট পাওয়া বেশ কঠিন কাজ, কারণ এর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম এবং কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে হয়। তবে উনি কখনো হাল ছাড়েননি এবং নিজের লক্ষ্যে সফল হয়েছেন।” সূত্রের খবর, ডিলিট সম্মান প্রদানের ক্ষেত্রে টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কর্ণাটক, কালিকট, বেঙ্গালুরু এবং গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর