বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাঙালীদের কাছে নববর্ষ (Nababarsha) হল বাংলা নতুন বছররে সূচনা। প্রত্যেক বছর এই দিনটি উৎসবের ন্যায় পালন করা হয়। ঘরে ঘরে পূজা করা হয়। অনেকে আবার মন্দিরে গিয়েও পূজা দিয়ে আসেন। এই দিন প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার দোকানে গণেশ দেবতার পূজা করেন। ব্যবসায়ে উন্নতির জন্য গণেশ দেবতা সঙ্গে লক্ষ্মী দেবির পূজা করেন। এই দিন অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। আবার বাড়িতে থেকেই বিভিন্ন পদে ব্যঞ্জন বানিয়ে আহার করেন। খেতে ভালোবাসা বাঙালী, এই দিনটি খাবারের উপরই বেশি জোর দেয়। প্রত্যেকবার ধুমধাম করে পালন করলেও এবার করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে মানুষজন নিজেদেরকে গৃহবন্দি রেখেই দিনটি পরিবারের লোকজনের পালন করছে।
‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’- লাড্ডুতে খুশি হওয়া ভগবান গণেশ কিন্তু সব দেবতার আগেই পূজিত হন। ছোট্ট ইঁদুর বাহনকে সঙ্গে নিয়ে গণপতি বাবা আসেন সবার আগেই। সিদ্ধিদাতা গণেশকে সন্তুষ্ট করতে পারলে কিন্তু আপনার শ্রীবৃদ্ধি বাড়বে, আপনার বাড়িতে সুখ শান্তি বৃদ্ধি পাবে। প্রতি বছর মা দূর্গা আসার আগে তাঁর সন্তান গণেশের আগমন হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের মতো এখন কলকাতায়ও ধুম ধাম করে পালন করা হয় গণেশ চতুর্থী। গণেশ দেবতার আরাধ্যে মেতে ওঠে কলকাতাবাসী। দেবতাকে প্রসন্ন করে তাঁর থেকে ভালো বর লাভের আশায় সকলেই তাঁর সেবা করেন। তবে মন দিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজো করলে, তিনি সকলের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। তাই ভক্তি ভরে গণেশের পূজো করলে, ভগবান তাঁকে দুহাত তুলে আশির্বাদ করেন। এই গণেশ দেবতাও এদিন পূজিত হন।
গণেশ দেবতার সাথে এই দিন লক্ষ্মী ঠাকুরকেও পূজা করা হয়। ধনরত্নের দেবী লক্ষ্মীকে পূজা করলে, ধনের শ্রী বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন দোকানে তো বটেই, তার সাথে অনেক বাড়িতেও এই পূজা করা হয়। পূজা শেষে প্রসাদ পর্বের পর হয় ভোজন পর্ব। কেউ নিরামিষ, আবার কেউ আমিষ। যাদের যেমন নিয়ম, তারা সেই ভাবে এই দিনটিকে পালন করেন। আবার কেউ নিজেদের মতো করে যা ইচ্ছে তাই বানিয়েই খান।
পুরাণ মতে, সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বার মাস অনেককাল আগে থেকেই পালিত হতো। সৌর বছরের প্রথম দিন অবিভক্ত বাংলায় অনেক আগে থেকেই এই উৎসব পালিত হত। বর্তমানে নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত হয়। তবে আগে কিন্তু এমনটি হত না। পুরাকালে নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ আতর্ব উৎসব অর্থাৎ ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। নতুন ফলস উৎপন্ন হলে এই উৎসব পালন করা হত।