সরকারের জমি বেআইনি দখল, লালবাজারের এক নির্দেশে রাতের ঘুম উড়ল হকারদের!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের (Government of West Bengal) জমির অবৈধ দখল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই নিয়ে ‘অ্যাকশনে’ নেমে পড়ল লালবাজার (Lalbazar)। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি বিরাট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

খাস কলকাতার (Kolkata) বুকে সরকারের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও পুলিশের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নির্ধারণ করা জমিও বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার এই নিয়ে থানাগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার।

   

সরকারি জমি বেহাত (Footpath Encroachment) হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশের পর রাজ্য সরকার চার সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটিতে রয়েছে সেচ সচিব প্রভাত মিশ্র, অর্থ সচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা ও কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। চার সদস্যের এই কমিটি সরকারের জমি বেদখল রোখার রূপরেখা বানাবে। এমনকি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ প্লেনে ভ্রমণ, AC হোটেলে থাকাখাওয়া! ১০০ জন কর্মীকে নিয়ে শপথ নিতে যাচ্ছেন TMC-র অরূপ

এবার সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার ও হকারদের সরানোর নির্দেশ দিল লালবাজার। জানা যাচ্ছে, গত শুক্রবার এই মর্মে থানাগুলিকে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্দেহ অভিযান চালানোর কথা বলা হয়েছে। কোথায় কোথায় সরকারি জমিতে এমন হয়েছে, সেটার লিস্ট বানিয়ে সোমবার লালবাজারে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে এক পুলিশকর্তা বলেন, কোভিডের প্রথম দফার লকডাউনের আগে যত সংখ্যক হকার ছিল, সেটিকে মাপকাঠি ধরে কোথায় কোথায় নতুন হকার বসেছে সেগুলিকে খুঁজে লিস্ট বানানোর কথা বলা হয়েছে। যদি এমনটা করা হয় তাহলেই বোঝা যাবে গত কয়েক বছরে কোথায় কোথায় ফুটপাত দখল করে নতুন হকার বসেছে। তালিকা হাতে পাওয়ার পর কীভাবে দখল হওয়া সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করা হবে সেটাও ঠিক করা হবে।

Lalbazar

একইসঙ্গে বলা হয়েছে, থানায় যদি কোনও জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়ে থাকে তাহলে সেটাই কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত থানাগুলিতে যাচাই করতে হবে। লালবাজারের তরফ থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই নিয়ে লালবাজারে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে, এরপর এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর