বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশুখাদ্য দুর্নীতিতে সাজা প্রাপ্ত RJD প্রধান তথা বিহারের (Bihar) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) বড়সড় ঝটকা খেলেন। ঝাড়খণ্ড আদালত ওনার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালতে আজ লালু প্রসাদের মামলা নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হাইকোর্ট এই শুনানি ২৭ নভেম্বরে করার নির্দেশ দিয়েছে, এর মানে এই যে, লালু যাদব আপাতত জেলের বাইরে বের হতে পারছেন না। যদিও, তিনি আদৌ জেলে নেই, তিনি আপাতত RIMS হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ওনাকে সাজা ঘোষণার পর থেকেই তিনি ওই হাসপাতালে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুমকা ট্রেজারি মামলায় বন্দি লালু যাদবের আবেদনে আজ শুক্রবার শুনানি হয়েছে। আর এই শুনানিতে CBI নিজেদের পক্ষ রাখার জন্য আরও কিছু সময় চেয়েছে। এরপরই হাইকোর্ট এই শুনানি আগামী ২৭ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছে।
দুমকা ট্রেজারির সাথে অবৈধ সেচ মামলায় লালু প্রসাদ যাদব অর্ধেক সাজা ভোগ করেছেন। আর সেই ভিত্তিতেই তিনি আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত এর শুনানি স্তগিত করে দেয়। শোনা যাচ্ছে যে, হাইকোর্ট যদি লালুকে জামিন দিয়ে দেয়, তাহলে RJD সভাপতির জেল মুক্ত হওয়ার রাস্তা পরিস্কার হয়ে যাবে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে এর আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। আর তিনি এখন রাঁচির RIMS এ চিকিৎসাধীন।
দুমকা কোষাগারের সাথে যুক্ত মামলায় বিভিন্ন ধারায় সাত বছরের সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের জন্য। উল্লেখ্য, এই মহা দুর্নীতি ১৯৯৬ সালে প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় বিহার পুলিশ এই বিষয়ে মামলা দায়ের করে তদন্ত চালানো শুরু করে। এরপর তদন্তে লালু প্রসাদ যাদবের লিঙ্ক পাওয়া যায়। পরে সিবিআই এই মামলা নিজেদের হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। আর বিগত ২৪ বছর ধরে এই মামলা চলেই যাচ্ছে।