বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা ভোটে রাজ্যে উঠেছে সবুজ ঝড়। রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়েছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই সরকারি কর্মীদের জন্য একের পর এক বড় ঘোষণা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবারের লোকসভা ভোটে বঙ্গ শাসকদলের সাফল্যের পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল লক্ষীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar)।
তাদের মতে, কেবলমাত্র এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতার কারণেই গ্রাম বাংলা ঢেলে ভোট দিয়েছে মমতার তৃণমূলকে, এমনটা মত বিরোধীদের একাংশেরও। তবে বর্তমানে আর জি কর আবহে লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বিরোধীরা সওয়াল করেছিল, এবার থেকে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার আগে ভেবে নেবেন বাড়ির লক্ষ্মীরা নিরাপদ থাকবে কিনা।
অন্যদিকে শাসকদলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিমগুলিতে থাকতে চান না, তাদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার’। এরপর লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বহু মানুষের মধ্যে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। তাহলে কি সত্যিই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষীর ভাণ্ডার?
জানা যাচ্ছে, এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সকলেই ঠিক সময়ে লক্ষীর ভাণ্ডার পেয়ে যাবেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প এতদিন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা প্রত্যেক মাসে সরকারের থেকে ভাতা পান, তাদের কারও ভাতা বন্ধ হচ্ছে না।
এদিকে গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘লক্ষীর ভাণ্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। যারা যারা লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদন করেছেন, কিন্তু টাকা পাননি, তাদের চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা দিন যাক। পুজোর পরেই সবাই ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন। কিছু লক্ষীর ভান্ডার পড়ে রয়েছে। তারা সকলে পুজোর পরে পেয়ে যাবেন। পুজোটা হয়ে যাক আমরা এগুলো রিভিউ করে নেব।’
আরও পড়ুন: রাজ্যে এই প্রথম চালু হচ্ছে লেডিস স্পেশাল বাস, কোন কোন রুটে চলবে? পুজোর আগেই বিরাট পদক্ষেপ
সেই সময় মমতা আরও বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকেই সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য আমরা ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলার বাড়ি, বিধবা ভাতা আরও অনেক কিছু দেওয়া হবে ডিসেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে ৪০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দেওয়া হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা একাধিক জনহিতকর প্রকল্পের মাঝে নিঃসন্দেহে সব থেকে জনপ্ৰিয় লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar Scheme)। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতি। সেই মতো নিজ রাজ্যের মহিলাদেরকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে সূচনা হয়েছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।