বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ভিতরেই ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, একের পর এক নপতাদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরাও৷ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরও ৷ তাদের বক্তব্য, এই ঘটনা বাংলার ঐতিহ্যকেই কলুষিত করছে ৷
এই প্রসঙ্গে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বলেন, ‘,কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন যে পরীক্ষার্থীরা পাস করেছে, যাদের শংসাপত্রে কল্যাণময়ের স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের কথা একবার ভেবে দেখুন!’ এই ঘটনা সেই ছাত্রছাত্রীদের মনে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েই শঙ্কিত সেলিম ৷
কল্যাণময়ের পর গ্রেফতার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য ৷ এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপি-এর মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই একসঙ্গে তিনটি পদে বসেছিলেন সুবীরেশ ৷ কারণ, তিনি রাজ্যের শাসকদলের স্নেহধন্য ৷ তাই বেআইনিভাবে তাঁকে একাধিক পদে বসানো হয়েছিল ৷ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ তিনি।’ প্রসঙ্গত, এই সুবীরেশ ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীনই সেখান থেকে নিজের পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন পার্থ।
এইসব কাণ্ড নিয়ে শুধুমাত্র তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরাই নন, ক্ষুব্ধ হচ্ছেন প্রথম সারির নেতারাও ৷ সৌগত রায়ের প্রশ্ন, সুবীরেশ ভট্টাচার্য একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডাব্লিউবিএসএসসি-এর চেয়ারম্যান এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন কীভাবে ! সৌগত মনে করেন, দল বা কোনও ব্যক্তির প্রতি সুবীরেশের একান্ত আনুগত্যই তাঁকে এই তিনটি পদে একসঙ্গে আসীন রেখেছিল ৷ এই ঘটনা জনসমক্ষে যে সরকার এবং দলের মুখ পুড়িয়েছে, তাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সৌগত রায়।