বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সর্বদাই খবরের শিরোনামে থেকে এসেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করা হোক কিংবা বিরোধীদের একের পর এক এক কটাক্ষ ছুঁড়ে দেওয়া, সর্বদাই সামনের সারিতে বিরাজ করেন তৃণমূল নেত্রী। সম্প্রতি তিনি একটি পোস্ট করে বলেন, “কোথাও কোনো দুর্নীতির খবর পেলে আমাকে জানান। দরকার পড়লে দলের নেতৃত্বকেও বলতে পারেন।” আর এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতারা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ, এমন জল্পনাও শুরু হয়ে যায়। এমনকি, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে লিফলেট বানিয়েও নদিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে বর্তমানে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতি।
লিফলেট বিতর্কটি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে দলের নেতা মন্ত্রীদের কেবিন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বর্তমানে এই প্রসঙ্গে স্পিকার নিন্দা করেছেন। এমনকি উনি এই সকল প্রচারের ফাঁদে না জড়ানোর জন্য সংবাদমাধ্যমকে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও শুনেছি। এটি একটি গভীর চক্রান্ত।”
সম্প্রতি, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে একটি লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া হয় চারিদিকে। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে, লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র স্বজনপোষণ করে চলেছেন। দলের মানুষকে সুযোগ সুবিধা করে দেওয়ার জন্য একাধিক কাজ করে চলেছেন তিনি, যাতে ক্রমশ দলের সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে এই কাজটি যে বিরোধী পক্ষ থেকে করা হয়েছে, সে বিষয়ে মতপ্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, “বর্তমানে লিফলেট বিতর্কের কথা শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত দেখতে পাইনি। আপাতত যে খবর এসে পৌঁছেছে, তাতে ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা রাগ থেকে এগুলি করা হয়েছে বলে মনে হয়। তবে এটিকে আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি না। যদি কারোর কোনওরকম ক্ষোভ কিংবা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমাদের এসে বলতে পারেন।”