বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান সময়ে অনেক যুবক-যুবতী চাকরির বদলে ভরসা রাখছেন ব্যবসার উপর। ব্যবসা করে স্বাধীনভাবে উপার্জন করতে চাইছেন অনেকে। কিন্তু ব্যবসা করব বললেই তো হল না! ব্যবসার জন্য চাই পর্যাপ্ত মূলধন। কিন্তু এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যা স্বল্প পরিমাণ মূলধনেও শুরু করা যায়।
একটা সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যদি চাকরি না পান , তাহলে চপের ব্যবসা করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে বাঁকুড়ার দুই বোন মুখ্যমন্ত্রীর এই কথাকেই যেন হাতিয়ার করেছেন। বাঁকুড়ার (Bankura) দুই বোন বেসরকারি কোম্পানির কাজ ছেড়ে খুলেছেন চায়ের দোকান।
আরোও পড়ুন : খেল দেখাবে চিত্তরঞ্জন! তৈরী হবে আরোও সুরক্ষিত বন্দে ভারত, থাকবে নতুন ইঞ্জিনও
শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই চায়ের দোকানের নাম দিয়েছেন ‘আড্ডা।’ মোটা মাইনের চাকরি করতেন বেসরকারি কোম্পানিতে। কিন্তু কাজের চাপ তারা সহ্য করতে পারছিলেন না। সেই থেকেই সিদ্ধান্ত নেন চা-চপের দোকান খোলার। বাঁকুড়া শহরের পশ্চিম সানাবাদের বাসিন্দা সঞ্চিতা ভট্টাচার্য এবং সুচিস্মিতা গোস্বামী শুরু করে দেন তাদের ‘আড্ডা।’
আরোও পড়ুন : ‘বেঁচে থাকলে’ আজ আটে পা দিত সৌরনীল! জন্মদিনের সকালে শোকে পাথর মা
আর বলা বাহুল্য, এই ‘আড্ডা’ নামটিও যেন হয়ে উঠেছে সার্থকনামা। তাদের দোকানে চা ছাড়াও পাওয়া যায় ড্র্যাগন চিকেন, চিকেন নাগেট এবং বাগদা চিংড়ির চপ। সঞ্চিতা ও সুচিস্মিতা মাত্র দশ দিন হল চাকরি ছেড়েছেন। চাকরি ছাড়ার পর তারা শুরু করেছেন তাদের নতুন দোকান। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল হয়েছে তাদের এই গল্প।
বাঁকুড়ার এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকানের নাম ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জায়গা। তাদের দোকানের বাগদা চিংড়ির চপ খেতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। ২৫ টাকার এই চপের বেশ চাহিদা তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ায়। দুই বোন জানিয়েছেন তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের স্বামীরা যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন।