ভাঙ্গন শাসক দলে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ শুভেন্দুর গড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রতি চালেই তৃণমূলকে (All India Trinamool Congress) মাত দিচ্ছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। কাজে লাগছে ‘শাহ ম্যাজিক’। শাসক দল তৃণমূলের ভাঙ্গন ঘটল এবার শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেই। করোনা এবং আমফান কে সঙ্গী করেই বিজেপিতে যোগ দিলেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানসহ বেশ কিছু দলীয় কর্মীরা।

শাসক দল এলাকার দুঃস্থদের কোনরকম সাহায্য করছে না, এই অভিযোগেই দল ছাড়লেন বেশ কয়েকজন কর্মী। সংক্রমণের মধ্যেই জমে উঠছে রাজনীতির লড়াই।

bjp 24

দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ
সোমবার শহীদ মাতঙ্গিনি ব্লকের রঘুনাথপুর ২ অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান কমল কৃষ্ণ মান্না এবং কমলবাবু সহ প্রায় ৫০ জন দলীয় কর্মী দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যুক্ত হন। তমলুক জেলার বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়েক তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানায়।

শাসক দল নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত
দল বদল করে বিজেপির নতুন সদস্য কমলবাবু জানান, ‘এতদিন ধরে তৃণমূলের নীতি আদর্শ মেনে কাজ করলেও, লিচুতলায় মুখ্যমন্ত্রীর কোন আদর্শই আর মেনে চলা হয় না। নীতি আদর্শ তো অনেক দূরের কথা ক্ষতিগ্রস্থ গরীব মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে যে যার নিজের স্বার্থ গোছাতে ব্যস্ত। এই নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাকে দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। কোন মিটিং মিছিলেও ডাকা হয় না আর আমাকে। বাড়তে থাকা মানসিক চাপ কমাতে এবং দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমি বিজেপিতে যোগ দিই’।

অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন
এই বিষয়ে অবশ্য রঘুনাথপুর ২ অঞ্চলের প্রধান শিলাদিত্য আদক জানান, কমলবাবুর এই অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন। উনি বিশেষ কোন পার্টির কাজে যুক্ত ছিলেন না। তবে উনি যদি বিজেপিতে যোগ দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাও একবার খোঁজ নিয়ে দেখব’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর