বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাস্তব হোক বা গল্প, মানুষ সবসময় ‘হ্যাপি এন্ডিং’ দেখতে চায়। কথাতেই আছে, সব ভাল যার শেষ ভাল। কিন্তু এই গতে বাঁধা নিয়ম মেনে চলেন না লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। তাঁর সিরিয়াল বরাবরই একটু অন্যধারা। সেখানে কল্পনার চরিত্ররাও মানুষ। তাদেরও মৃত্যু হয়। এমনকি নায়ক নায়িকারও মৃত্যু দেখিয়েছেন তিনি সিরিয়ালে। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ‘খড়কুটো’ (Khorkuto)।
ব্রেন টিউমারের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে নায়িকা গুনগুনের। অনুরাগীরা কেঁদে ভাসাচ্ছেন। খড়কুটোর ফ্যানপেজগুলিতে চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। গুনগুন খড়কুটোর প্রাণ। সিরিয়ালের শেষে তাকেই মেরে ফেললেন লেখিকা!
অবশেষে সমস্ত অভিযোগের জবাব দিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই। গুনগুন চরিত্রটির মৃত্যু দেখানোর কারণ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তিনি। লেখিকা বলেন, লেখায় কোনো গণতন্ত্র চলে না। পছন্দের একটা চরিত্র শেষ হয়ে গেলে খারাপ লাগেই। কিন্তু কোন চরিত্র কোথায় শেষ করতে হবে সেটা সম্পূর্ণ লেখকের ব্যাপার। লেখকেরও তো ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপার আছে।
গুনগুন চরিত্রটির সফর এখানেই শেষ করে দেওয়ার নেপথ্যে ভাবনার ব্যাপারে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মনে হয়েছিল এমন কিছু একটা হলে গুনগুন চিরকাল দর্শকদের মনে থেকে যাবে। জীবন কারোর জন্য থেমে থাকে না। নিজের ছন্দে এগিয়ে চলে। সেটা বোঝাতে সিরিয়ালের শেষ পর্বে একটা বড় টুইস্ট রাখা হয়েছে। দর্শকদের তাই শেষদিন পর্যন্ত পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
দর্শকদের কাছে আরো একটা আর্জি রয়েছে লেখিকার। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, সিরিয়াল নিয়ে যে আবেগ সেটা বাস্তব জীবনেও যেন প্রতিফলিত হয়। চারপাশে অনেক দুঃখ দুর্দশা। সিরিয়ালের আবেগটা বাস্তব জীবনেও দেখালে মানুষের কষ্ট অনেক কমবে।
আগামীকাল, রবিবার দু বছরের সফর শেষে বিদায় নিচ্ছে খড়কুটো। তৃণা সাহাও জানিয়েছিলেন, শেষ পর্বে দর্শকদের জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ থাকবে। ততদিন পর্যন্ত যেন দর্শকরা সঙ্গে থাকেন। অনুরাগীরা আপাতত সেই সারপ্রাইজের অপেক্ষায়।