বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন পূর্বেই নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে শাসক দলের কাছ হতে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় বাম-বিজেপি (Cpim-BJP) জোট। প্রথমবারের মতো জোট করে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতা দখল করে সমবায় বাঁচাও কমিটি। ঠিক সেই মন্ত্রে শান দিয়েই এদিন মহিষাদলে (Mahishadol) কেশবপুর সমবায় সমিতিতে লড়াই করতে নেমেছিল বাম-রাম জোট। তবে শেষপর্যন্ত এক প্রকার খালি হাতেই ফিরতে হলো তাদের। অপরদিকে, বিপুল ভোটে জয় লাভ করে চেনা ছন্দে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress)।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয় লাভ করে বাম-বিজেপি জোট। ৬৩ টি আসনের মধ্যে প্রত্যেকটিতে জয় পায় তারা, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে মুখ থুবড়ে পড়ল এই জোট।
নন্দকুমার মডেলে ভর দিয়ে মহিষাদলে সমবায় সমিতিতে লড়াই করতে নামলেও এদিন বিপুল মার্জিনে পরাজয় স্বীকার করে বাম এবং বিজেপির যৌথ কমিটি। মহিষাদলে সমবায় সমিতিতে মোট ৭৬ টি আসনে ভোট হয়, যেখানে একটি আসনে আগে থেকেই জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে ৭৫ টি আসনে ভোট গ্রহণ হওয়ার পর ফলাফল বের হতেই বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম-বিজেপি জোট।
এক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭৬ টির মধ্যে মোট ৬৯ টি আসনে জয় লাভ করেছে তৃণমূল আর অপরদিকে সাতটিতে জয়ী হয়েছে বিরোধী জোট। বাম এবং বিজেপির যৌথ প্রয়াসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে এনে স্বাভাবিকভাবে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে শাসক দলকে।
এদিন তৃণমূল নেতা তরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, “বাম এবং বিজেপির অশুভ জোটের যে পরাজয় ঘটবে, তা আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম। বর্তমানে ফল প্রকাশের পর সেটাই দেখা গেল। ওরা নিজেদের মধ্যে জোট করে আঁতাত তৈরি করেছিল। তাই পরাজিত হয়েছে।”
তবে শুধুমাত্র শাসক দলই নয়, এদিন বাম-বিজেপি জোটের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিয়েছেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। তিনি বলেন, “বিরোধী জোটে যদি আমরা থাকতাম, তাহলে এরকম ভাবে পরাজয় ঘটতো না।”