লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি নাকি জোট? এই প্রশ্ন জিইয়ে রইল বাম (left) – কংগ্রেস (congress) দুই শিবিরেই। লোকসভা ভোটে শেষ পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতানৈক্য এর জেরে জোট সম্ভাবনা ভেস্তে গিয়েছে। একুশের ভোটের আগেও ফের একবার উঠে এল সেই সম্ভাবনা। কংগ্রেসের তরফ থেকে ১৪৫ আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ বাম শরিকি দলগুলি।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু , সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান , ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টপাধ্যায়, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্যরা এদিন জোট গড়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে বৈঠকে বসেন। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে ১৪৫ টি আসনের দাবি করেছে কংগ্রেস। যার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে বাম বেশ শক্তিশালী।
এই আসনগুলি ছাড়তে রাজি নয় বাম দলগুলি। তাদের বক্তব্য যে সব এলাকায় এখনো বামেরা শক্তিশালী সেগুলো ছেড়ে দিলে কর্মী সমর্থকরা উৎসাহ হারাতে পারেন। ২০১৯ সালে এই আসন সমঝোতা নিয়েই মতানৈক্যের কারনেই ভেস্তে যায় জোট। যার ফলে বেশ ক্ষতি হয়েছিল দুই শিবিরেই। আলাদা আলাদা লড়াইয়ের চেয়ে দুই শিবিরের খানিকটা নমনীয় হওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন জোট পন্থীরা। জানিয়ে রাখি, ফেব্রুয়ারী বা মার্চে হতে পারে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। সেখানে যৌথ মঞ্চ করতে আগ্রহী উভয় শিবিরই।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর এবার বাংলাতেও দাঁত গাড়াতে আগ্রহী হয়েছেন ওয়াইসি। আর সেই ক্রমেই তিনি বাংলার মুসলিম বহুল কয়েকটি আসনে প্রার্থীও দিতে চলেছেন।
রবিবার সাতসকালে আব্বাস সিদ্দিকির বাড়িতে উপস্থিত হায়দ্রাবাদের সাংসদ তথা AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি । AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আগেই বলেছিলেন যে, নতুন বছরেই তিনি বাংলায় আসবেন। আর সেই কথা মতই বছরের তৃতীয় দিনেই বাংলায় এসে ফুরুফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির বাড়িতে পৌঁছান তিনি।
সেখানেই আব্বাস সিদ্দিকির সাথে জোটের কথা জানান তিনি। এরপরেই জল্পনায় উঠে আসে বাম-কং জোটের সাথে মিমের জোটের কথা। ওয়াইসি জানান, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে আমাদের জোট হয়ে গিয়েছে। তবে অন্য দলের সঙ্গেও আমাদের কথাবার্তা চলছে। খুব শিগগিরই আপনাদের জানাব। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বা বাম কংগ্রেসের কথাই বলেছেন ওয়াইসি।
অন্যদিকে বামফ্রন্টকে এই ইস্যুতে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষও। তার সাফ বক্তব্য, কেরালাতে cpim যদি মুসলিম লিগের সাথে জোট করতে পারে তবে বাংলায় MIM এর সাথে জোট, অবাক হবেন না তিনি। ”ওরা মুখেই বলে সেক্যুলার। ওসব বাজে কথা।”