বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিরুদ্ধে নেওয়া এহেন পদক্ষেপ, সাংবিধানিক প্রধানকে মানায় না- ঠিক এমনভাবেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) আক্রমণ করল বামেদের (Left Front) দল। তাঁদের অভিযোগ, সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন রাজ্যপাল। আর রাজ্যপালের এই আচরণের প্রতিবাদে সরব থাকবে বামেরা।
ভোট পরবর্তীতে বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যেকার তিক্ততার সম্পর্ক বড় আকার ধারণ করে। মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ারও দাবি ওঠে দুইপক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, চিঠি পাঠিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের রাগে জল ঢালেন চেয়ারম্যান বিমান বসু। তখনই তাঁরা জানিয়েছেন, বামফ্রন্টে থাকলেও, মোর্চায় নেই ফরওয়ার্ড ব্লক।
এদিনই বৈঠকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়াল বামেরা। ভোট পূর্বে যেকোন ইস্যুতে আগে যে রাজ্যপালের দারস্থ হচ্ছিলেন, এখন সেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে সরব হল বামেদের দল। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের নেওয়া পদক্ষেপ সংবিধান বিরোধী। অর্থাৎ একজন সাংবিধানিক প্রধান হয়ে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলা, পদক্ষেপ নেওয়া সংবিধান বিরুদ্ধ।
প্রসঙ্গত, ভোট যেতেই আবারও তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল সিপিএম। এবার দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে শাসক দলের পাশে বামেরা। তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল আর শিশির অধিকারীর সদস্যপদ খারিজের দাবি তুলে লোকসভার স্পিকারকে দেওয়া চিঠি ন্যায়সঙ্গত মনে করছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, গত বিধানসভায় এক দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকারকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২৩ বার শুনানির পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।