বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) অপেক্ষায় রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মী (Government Employees)। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এদিকে ২০২৫ সাল শেষ হতে গেলেও সপ্তম পে কমিশন (7th Pay Commission) নিয়ে এখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি সরকার। যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। এরই মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়া নিয়ে ফের সরব হল শিক্ষক সংগঠনগুলি।
ডিএ নিয়ে ফের চাপ | Dearness Allowance
সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের তরফে সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে সপ্তম পে কমিশন গঠন করতেই হবে। নইলে ইউনিটি ফোরাম হাইকোর্টে মামলা করবে বলে আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আর এবার ইউনিটি ফোরামের পর ‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’ সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল।
শুক্রবার সংগঠনের তরফে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মেটানো এবং অবিলম্বে নতুন বেতন কমিশন গঠনের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে এই নিয়ে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’ আশা করছে, রাজ্য সরকার তাঁদের দিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করবে। মমতাকে দেওয়া চিঠিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (AICPI) অনুযায়ী বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ডিগবাজি! দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে ‘খারাপ খবর’ দিল হাওয়া অফিস: আগামীকালের আবহাওয়া
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অতীতে কেন্দ্রের বেতন কমিশন গঠনের পরেই রাজ্যে নতুন কমিশন আসত। সেই প্রথা মেনে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের অনুরোধ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। উল্লেখ্য, সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য আসছে অষ্টম পে কমিশন। আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয় কিনা সেটাই দেখার।












