বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy) এখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে। নৃশংস অপরাধের জন্য অনুশোচনা না থাকলেও জেলের হাওয়া তার স্বভাব কিছুটা বদলে দিয়েছে। আগের মতো হিংস্রতা আর নেই, তবে অপরাধবোধের কোনও চিহ্নও নেই সঞ্জয়ের (Sanjay Ray) মধ্যে।
গত জানুয়ারিতে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় সঞ্জয় রায়
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আরজি কর (RG Kar) সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে (Sanjay Ray) গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ, পরে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। গত জানুয়ারিতে আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
কারাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে সঞ্জয় (Sanjay Ray) ছিল চরম রাগী ও গোঁয়ার। সহবন্দি ও কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত, কারও সঙ্গে কথা বলত না। সেই কারণে অন্য বন্দিরা তাকে এড়িয়ে চলত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার আচরণে পরিবর্তন এসেছে। এখন সহবন্দিদের সঙ্গে কেরাম খেলে, টিভি দেখে এবং একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে। কর্মীদের কথাও মেনে চলে।
বর্তমানে জেলে তার দায়িত্ব বাগান পরিচর্যা। প্রতিদিন সকালে প্রায় দুই ঘণ্টা বাগানে কাজ করে সময় কাটায়। শনিবার ছিল রাখিপূর্ণিমা, কিন্তু তার দুই দিদি কেউই জেলে এসে রাখি পরাননি। এমনকি জেলে আসার পর থেকে পরিবারের কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি।
আরও পড়ুনঃ তিনবার আশীর্বাদে গলল বরফ, মমতা-কল্যাণ সম্পর্ক কি ফিরল পুরনো ছন্দে?
যদিও সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Ray) আচরণে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবু তার নৃশংস অপরাধের জন্য অনুশোচনার কোনও প্রমাণ মেলেনি। আদালতের রায়ে ফাঁসির দাবি মানা হয়নি, তাই যাবজ্জীবন কারাবাসই এখন তার ভাগ্য। পরিবারের দূরত্ব এবং জেলের পরিবেশ মিলিয়ে তার জীবনে এক নীরব পরিবর্তন ঘটলেও অপরাধের ছাপ মুছে যায়নি।